সংগঠনটি জানায়, প্লেন ভাড়াসহ অন্যান্য খরচ বাড়লে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চাহিদা অনুযায়ী কর্মী পাঠানো সম্ভব হবে না। ফলে নতুন করে আরো বাজার বন্ধ হবে, একই সঙ্গে চাহিদাপত্র বাতিল হয়ে যাবে।
মঙ্গলবার (০৯ এপ্রিল) বায়রার সম্মেলন কক্ষে বায়রার কার্যনির্বাহী কমিটির মতবিনিময় সভায় এ কথা জানানো হয়। এ সময় বায়রার সভাপতি বেনজীর আহমেদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ শফিকুল আলম ফিরোজ, সহ-সভাপতি মনসুর আহমেদ কালাম, মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান, বায়রার যুগ্মসচিব সাজ্জাদ হোসাইন, মিজানুর রহমান, বায়রার মেম্বার কাফিল উদ্দিন মজুমদারসহ অনান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বায়রার সভাপতি বেনজীর আহমেদ বলেন, অভিবাসন খাতে সবচেয়ে আলোচিত ও সমালোচিত বিষয় হলো উচ্চ অভিবাসন ব্যয়। অভিবাসন বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হলে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফি বাড়ানো, অভ্যন্তরীণ বহির্গমন ছাড়পত্র, পুলিশ ক্লিয়ারেন্সসহ প্লেন ভাড়া দ্বিগুণ হয়েছে। বায়রা কখনোই চায় না অভিবাসন ব্যয় বৃদ্ধি পাক। গত সাত মাসে মালয়েশিয়া, দুবাইর মতো দেশের বাজার বন্ধ হয়ে গেছে। এখন আমাদের একমাত্র ভরসা সৌদি আরব। ব্যয় বাড়লে কর্মী পাঠানোর চাহিদাপত্র বাতিল হয়ে যায়। এ জন্য বায়রা চাচ্ছে অভিবাসন ব্যয় কমিয়ে আনতে।
তিনি বলেন, বিদেশগামী কর্মীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মেডিক্যাল সেন্টার সংগঠন গামকো সময় সময় মেডিক্যাল ফি বাড়িয়ে চলছে। সম্প্রতি তারা ৫ হাজার টাকার মেডিক্যাল ফি বাড়িয়ে ৮ হাজার ৫শ’ টাকা করেছে। পাশাপাশি প্লেনের টিকিটের দাম ৮০ থেকে ১০০ শতাংশ বেড়েছে। প্লেনের টিকিট বিক্রির ক্ষেত্রে সিন্ডিকেট সক্রিয় রয়েছে। সিন্ডিকেটের কারণে প্লেন ভাড়া বৃদ্ধি পায়। মাত্রাতিরিক্ত প্লেন ভাড়া বৃদ্ধির ফলে অভিবাসন ব্যয় আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। এজন্য সরকার নির্ধারিত অভিবাসন ব্যয় স্থিতিশীল রাখা সম্ভব হয় না।
এক প্রশ্নের জবাবে বায়রার মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান বলেন, অভিবাসন ব্যয় কমাতে আমরা সচেষ্ট থাকার পরও প্লেন ভাড়া বৃদ্ধি, মেডিক্যাল সেন্টারের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ফি বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন খরচ বাড়ায় অভিবাসন ব্যয় বেড়ে যায়। এজন্য আমরা গামকো কর্তৃক অযাচিত মেডিক্যাল ফি বৃদ্ধির না করে যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারণ করার অনুরোধসহ প্লেন ভাড়া বৃদ্ধি রোধকল্পে ওপেন স্কাই পলিসি অতি দ্রুত ঘোষণা করা। এজন্য সরকারের কাছে আবেদনও করেছি। যাতে যে কোনো এয়ারলাইন্স বাংলাদেশে আসতে পারে এবং তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে।
বর্তমান সরকার তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে আগামী ৫ বছরে এক কোটি ২৮ লাখ কর্মসংন্থানের পরিকল্পনা নিয়েছে। এ কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য প্রতি উপজেলা থেকে প্রতি বছর গড়ে এক হাজার যুব/যুব মহিলা বিদেশে কর্মসংস্থানের লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। সরকারের এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকারের সাথে সমন্বয় করে কাজ করবে বায়রা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০১৯
জিসিজি/এমজেএফ