মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারি মাসে মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চে মূল্যস্ফীতি বাড়লেও আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় মূল্যস্ফীতি কমেছে। ২০১৮ সালের মার্চে মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৬৮ শতাংশ। এটাকে আমরা স্থিতিশীল বলতে পারি।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি বছরের মার্চ মাসে খাদ্য উপখাতেও মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৭২ শতাংশে। আগের মাস ফেব্রুয়ারিতে ছিল ৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
খাদ্যবহির্ভূত উপখাতে শূন্য দশমিক ২২ শতাংশ কমে মার্চ শেষে মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ২৯ শতাংশে। ফেব্রুয়ারিতে এ খাতে মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৫১ শতাংশ।
প্রতিবেদন বলছে, মার্চ শেষে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে জাতীয় মজুরি বেড়ে হয়েছে ৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ। আগের মাস ফেব্রুয়ারিতে ছিল ৬ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
মার্চ শেষে শহরের মূল্যস্ফীতি শূন্য দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশে। আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
গ্রামের মূল্যস্ফীতি শূন্য দশমিক ১২ শতাংশ বেড়ে মার্চ শেষে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৩৮ শতাংশে। ফেব্রুয়ারিতে ছিল ৫ দশমিক ২৬ শতাংশ।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মহাপরিচালক কৃষ্ণা গায়েন বলেন, শাক-সবজি ও মুরগির দাম বাড়ায় ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চে মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১১ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০১৯
এসই/এএ