বুধবার (২৪ এপ্রিল) বসুন্ধরা সিটির লবিতে আয়োজিত জাঁককমক অনুষ্ঠানে ক্রেতাদের জন্য এ অফারের উদ্বোধন করেন বসুন্ধরা সিটির ঊর্ধ্বতন নির্বাহী পরিচালক শেখ আব্দুল আলীম।
বুধবার থেকে ক্রেতাদের জন্য এ গাড়ি জেতার সুযোগ থাকছে ঈদুল ফিতরের আগের দিন (চাঁদ রাত) পর্যন্ত।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা ফুড অ্যান্ড বেভারেজ ও বসুন্ধরা সিটির চিফ মার্কেটিং অফিসার এমএম জসীম উদ্দিন, নির্বাহী পরিচালক (মানব সম্পদ ও নিরাপত্তা) মেজর শাহাব উদ্দিন চাকলাদার, বসুন্ধরা সিটির দোকান মালিক সমিতির সভাপতি এমএ হান্নান আজাদ এবং বসুন্ধরা সিটির ব্র্যান্ডিং অ্যান্ড মার্কেটিং কর্মকর্তারা।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রতি ১৫০০ টাকার কেনাকাটায় একটি স্ক্র্যাচ কার্ড পাবেন ক্রেতা। যে যতো বেশি কেনাকাটা করবেন, সে ততো বেশি স্ক্র্যাচ কার্ড পাবেন এবং পুরস্কার বিজয়ী হবেন। পুরস্কারের মধ্যে রয়েছে, প্রাইভেট কার, ডায়মন্ড সেট, ইয়ামাহা মোটর সাইকেল, মিনিস্টার ফ্রিজ, এলইডি টিভি, ডায়মন্ড রিং, স্মার্ট ফোন, ব্লেন্ডার মেশিন, রাইস কুকার, ইলেকট্রিক কেটলি, টগি ওয়ার্ল্ড গিফট কুপন, গেমসসহ ফান ফ্যাক্টরিতে প্রবেশ কুপন, বসুন্ধরা টিস্যু ভ্যালু প্যাক, বসুন্ধরা নুডলস ও ১০০ টাকার প্রাইজ বন্ড। প্রতিদিনই ক্রেতারা স্ক্র্যাচ কার্ড ঘষে প্রাপ্ত পুরস্কার বসুন্ধরা সিটির লেভেল-১, ২ ও ৬ তলার বুথ থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন। এছাড়া বড় পুরস্কারগুলো দেওয়া হবে ঈদের পরে।
ক্রেতাদের এসব পুরস্কার দেওয়ার মাধ্যমে বসুন্ধরা সিটি নিজেদের সফলতা, সুনাম, ও সমৃদ্ধির রেকর্ড নিজেরাই ভাঙবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমএম জসীম উদ্দিন বলেন, বরাবরের মতো এবারো ঈদের আগে কেনাকাটায় স্ক্র্যাচ কার্ডের মাধ্যমে ক্রেতাদের আমরা বাড়তি কিছু দেওয়ার চেষ্টা করছি। ক্রেতারা এমনিতেই বসুন্ধরা সিটিতে শপিং করতে আগ্রহী। আমরা ক্রেতাদের এ আগ্রহকে আরও বাড়িয়ে দিতে বাড়তি পাওনা হিসেবে প্রতি বছর স্ক্র্যাচ কার্ডের অফার দিয়ে থাকি।
তিনি বলেন, এ বছর এক হাজার ৫০০ টাকার পণ্য কেনাকাটা করলেই একটি স্ক্র্যাচ কার্ড দেওয়া হবে। আর এ কার্ডটি ঘষলেই ক্রেতাদের রয়েছে বাজিমাত করার সুযোগ। যে যতো বেশি কেনাকাটা করবে, তার পুরস্কার জেতার সম্ভাবনাও বেশি। এবছর সর্বোচ্চ সংখ্যক ১৫ লাখ পুরস্কার দেওয়া হবে ক্রেতাদের। আমরা আশা করছি, দেশের সেরা এ শপিং কমপ্লেক্সে এবারও দেড় কোটি ক্রেতা-দর্শনার্থীর সমাগম ঘটবে। আমরা সব সময় ক্রেতাদের সম্মানে এ স্ক্র্যাচ কার্ডের আয়োজন করে থাকি।
বসুন্ধরা সিটির দোকান মালিক সমিতির সভাপতি এমএ হান্নান আজাদ বলেন, রাজধানীর অন্যান্য মাকের্টের চেয়ে কম দামে পণ্য বিক্রয় করা হয় বসুন্ধরা সিটিতে। এখানে কোনো সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজির স্থান নেই। শুধু ঢাকাই নয়, দেশের কোথাও বসুন্ধরা সিটির সমকক্ষ কোনো মাকের্ট নেই।
বসুন্ধরা সিটির ঊর্ধ্বতন নির্বাহী পরিচালক শেখ আব্দুল আলীম বলেন, এবছর স্ক্র্যাচ কার্ডে ৪৪ প্রকারের ১৫ লাখ পুরস্কারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও রয়েছে, বসুন্ধরা সিটির নিজস্ব টগি ওয়ার্ল্ড, ফান ফ্যাক্টরি, ফুড হল এ বিশেষ ছাড়।
মিনিসোর অপারেশনস ম্যানেজার ফারহান মতিউল্লা মনির বলেন, ঈদুল ফিতরের আগে এবারই আমরা প্রথমবারের মতো ক্রেতাদের জন্য হাজির হয়েছি বসুন্ধরা সিটিতে। কেনাকাটায় স্ক্র্যাচ কার্ডের মাধ্যমে প্রথম পুরস্কারের প্রাইভেটকারটি মিনিসো স্পন্সর করেছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, বসুন্ধরা সিটির নির্বাহী পরিচালক (মানব সম্পদ ও নিরাপত্তা) মেজর শাহাব উদ্দিন চাকলাদার, মাইওয়ান-মিনিস্টার ইলেকট্রনিক্সের হেড অব মার্কেটিং কেএমজি কিবরিয়া প্রমুখ।
অনুষ্ঠান শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বসুন্ধরা সিটির ঈদ শপিং স্ক্র্যাচ কার্ড বাজিমাত অনুষ্ঠানে মিডিয়া পার্টনার কালেরকণ্ঠ, বাংলাদেশ প্রতিদিন, বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম, নিউজ২৪টিভি ও রেডিও ক্যাপিটাল।
বাংলাদেশ সময়: ২২৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৯
এসই/আরআইএস/