ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাজেটে ৫ দফা দাবি স্টিল ব্যবসায়ীদের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৯
বাজেটে ৫ দফা দাবি স্টিল ব্যবসায়ীদের সংবাদ সম্মেলনে ইস্পাত ব্যবসায়ীরা। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: আসন্ন ২০১৯-২০ অর্থ বছরের বাজেটকে কেন্দ্র করে সরকারের প্রতি পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছেন দেশীয় ইস্পাত খাতের ব্যবসায়ীরা। 

বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব দাবি জানান এই খাতের ব্যবসায়ীরা। বাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএসএমএ), বাংলাদেশ অটো রি-রোলিং অ্যান্ড স্টিল মিলস অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ স্টিল মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন যৌথভাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

 

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফ্যাকচারারস অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন বলেন, দেশের স্টিল ও রি-রোলিং শিল্প দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশে আধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ বেশকিছু স্টিল ও রি-রোলিং শিল্প প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এসব মিল থেকে তৈরি হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের উন্নত এম এস প্রোডাক্ট তথা স্টিল  সামগ্রী। ২০০৮ সালে বাংলাদেশে স্টিলের ব্যবহার ছিল মাত্র ১৬ লাখ টন যা বর্তমানে প্রায় ৫৫ লাখ টন।  

এসময় সংগঠনগুলোর পক্ষে লিখিত বক্তব্যে পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেন বাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফ্যাকচারারস অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ। দাবিগুলো হচ্ছে- রডসহ স্টিল পণ্যে বিদ্যমান ট্যারিফ প্রথা বহাল রাখা, স্টিল শিল্পের প্রধান কাঁচামাল ফের ওয়েস্ট অ্যান্ড স্ক্র্যাপ এবং স্পঞ্জ আয়রন আমদানির ক্ষেত্রে শূন্য ভ্যাট বহাল রাখা ও ফেরাস ওয়েস্ট অ্যান্ড স্ক্র্যাপ আমদানি শুল্ক ১৫০০ টাকা বহাল রাখা, বিক্রয় পর্যায়ে অগ্রিম আয়কর, উৎসে আয়কর কর্তন বন্ধ করা, গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি না করা এবং শুল্ক বিহীন রড আমদানির সুযোগ বন্ধ করা।  

এসময় ইস্পাত ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, রডসহ স্টিল পণ্য উৎপাদন ও সরবরাহ পর্যায়ে ভ্যাট পরিশোধের জন্য বর্তমানে ট্যারিফ প্রথা বিদ্যমান রয়েছে। একই সঙ্গে ট্যারিফ থাকায় মূল্য নির্ধারণ সংক্রান্ত বিষয়ে স্টিল খাতে ভ্যাট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে গত কয়েক বছরে কোনো মতবিরোধ বা মামলার নজির নেই। কাজেই আসন্ন ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে উৎপাদন ও সরবরাহ পর্যায়ে নতুন মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতির পরিবর্তে বিদ্যমান প্রথা অর্থাৎ টন প্রতি সর্বোচ্চ ৯০০ টাকা ভ্যাট বহাল রাখার দাবি জানান তারা।  

এছাড়াও বাংলাদেশের ইস্পাত শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে দেশের বাইরে থেকে রড আমদানির সুযোগ বন্ধ করার দাবি জানান নেতারা। তারা বলেন, গুণগতমানের বিবেচনায় বাংলাদেশের রড বিশ্বমানের। বাংলাদেশের তৈরি রড বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পদ্মা ব্রিজের মতো বড় এবং জটিল প্রকল্প সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশের তৈরি রড দিয়ে তৈরি হচ্ছে। তবে রামপাল পাওয়ার প্লান্ট, কাঁচপুর মেঘনা গোমতী সেতু, কর্ণফুলী টানেলে  বিনা শুল্কে রড আমদানি হচ্ছে।  

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট জহিরুল হক চৌধুরী, অর্গানাইজিং ডিরেক্টর সুমন চৌধুরী, বাংলাদেশ স্টিল মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ ফজলুর রহমান বকুল সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ শাহজাহান প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ০৭০৫ ঘণ্টা এপ্রিল ২৫, ২০১৯
এসএইচএস/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।