বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর পৌনে ১২টায় রাজদর্শন হলে ফিতা কেটে মেলার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের বাণিজ্য সচিব মফিজুল ইসলাম। ঢাকায় ইন্দোনেশিয়ান দূতাবাস এ মেলার আয়োজন করেছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশের বাণিজ্য সচিব মফিজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার বন্ধুত্ব দীর্ঘদিনের। দু’দেশের ব্যবসায়িক সম্পর্কও অনেক পুরনো।
মুক্তিযুদ্ধে ইন্দোনেশিয়ার ভূমিকা স্মরণ করে সচিব বলেন, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে ইন্দোনেশিয়া সব সময় পাশে ছিল। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানেও বাংলাদেশের পাশে রয়েছে দেশটি। বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে একটি উদীয়মান দেশ। জিডিপির প্রবৃদ্ধি প্রায় ৮ শতাংশ।
ইন্দোনেশিয়ান ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, রেডিমেড গার্মেন্টস রপ্তানিতে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ বাংলাদেশ। এখানে বিনিয়োগের প্রচুর সুবিধা রয়েছে। এখানে বিনিয়োগ করলে উভয় দেশ লাভবান হবে।
সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সেক্রেটারি জেনারেল মায়েরসাফ বলেন, এ ধরনের মেলা বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে বাণিজ্যের নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে। এ মেলা দু’দেশের বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও পর্যটনের বিকাশ ঘটাবে।
তিনি ইন্দোনেশিয়া থেকে বিভিন্ন পণ্য আমদানিরও আহ্বান জানান।
স্বাগত বক্তব্যে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত রিনা পি সোয়েমারনো বলেন, এই মেলা বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার বাণিজ্য সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে। দ্বিতীয়বারের মতো এই আয়োজন ব্যবসার নতুন দ্বার উন্মোচন করবে।
তিন দিনব্যাপী এ মেলা শেষ হবে ২৭ এপ্রিল শনিবার। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শনার্থীরা টিকিট কেটে প্রবেশ করতে পারবেন। মেলায় কসমেটিকস, কাপড়সহ নানা ধরনের পণ্যের স্টল রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৯
টিএম/এএ