শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিরাজুল ইসলাম লেকচার থিয়েটার হলে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা জানান।
সংগঠনের ১০ম দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন উপলক্ষ ‘বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের কৌশল’ শিরোনামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ অর্থনীতি শিক্ষক সমিতি।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের মাথাপিছু আয় বর্তমানে দুই হাজার ডলারের কাছাকাছি। ২০৪০ সালের মধ্যে তা চার হাজার ডলার ছাড়াবে। এসব অর্জনের পেছনের নায়করা হচ্ছেন- কৃষিক্ষেত্রে যারা কাজ করছেন তারা, বিদেশে তপ্ত মরুভূমিতে কাজ করে নিজে খেয়ে না খেয়ে যারা এদেশে প্রতিনিয়ত রেমিটেন্স পাঠাচ্ছে সেসব শ্রমিকরা ও গার্মেন্টস সেক্টরে যারা বিরামহীন কাজ করছে সেসব মজুর, বিশেষ করে নারীরা।
এসময় তিনি ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উচ্চ আয়ের দেশের নিম্নতম পর্যায়ে ও ২০৪১ সালের মধ্যে উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত হবে বলেও জানান।
শ্রীলঙ্কা হামলার কথা স্মরণ করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশেও কয়েক বছর আগে এরকম ঘটনা ঘটেছে। এর সঙ্গে কিছু উচ্চশিক্ষিত তরুণ যুক্ত ছিল। এই যে নিছক, নিষ্ঠুর, নিরপরাধ মানুষকে হত্যা সেটা কোনো মতেই কোনো বিচারেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। হতাশ হয়ে কোনো হঠকারি পথে যদি তোমরা (তরুণরা) এগোও তাতে নিজের ক্ষতি হবে, এই প্রিয় মাতৃভূমির ক্ষতি হবে। মাঠ পর্যায়ে অনেক রক্ত ঝরবে, অনেক মহামূল্যবান সম্পদ নষ্ট হবে।
অর্থনীতিবিদ আবুল বারকাত বলেন, উন্নয়নের জন্য তিনটি বড় বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো হচ্ছে- মানবসম্পদ, ভৌতসম্পদ ও প্রাকৃতিক সম্পদ। আর গুরুত্বপূর্ণ এ তিনটি সম্পদই পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীন। এই তিনটি সম্পদ যদি সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায় তাহলে আমরা আরো খুব দ্রুত এগিয়ে যাবো।
অর্থনীতি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এম এ জলিলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সহ-সভাপতি এ জেড এম সালেহ, পিকেএস এফের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীলুজ্জামান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৯
এসকেবি/এএ