মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) শেরেবাংলা নগরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ ১২ প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভাশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ১২ প্রকল্পের মোট ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৪১৬ কোটি টাকা। এরমধ্যে উত্তরায় পয়ঃশোধনাগার নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা।
বাকি ১১ প্রকল্পের মধ্যে ‘টেকসই ও নিরাপদ মহাসড়ক গড়ে তোলার জন্য চারটি জাতীয় মহাসড়কের পার্শ্বে পণ্যবাহী গাড়ি চালকদের জন্য পার্কিং সুবিধা সম্বলিত বিশ্রামাগার নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পও রয়েছে। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের এ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২৩৩ কোটি ৫২ লাখ ৭১ হাজার টাকা। চলতি বছরের শেষ সময়ে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে শেষ হবে ২০২০ সালের ৩০ জুনে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, এ প্রকল্পের আওতায় যে চার মহাসড়কে বিশ্রামাগার নির্মাণ করা হবে সেগুলো হচ্ছে; ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-রংপুর এবং ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক। এরমধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিশ্রামাগারটি নির্মাণ করা হবে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার নিমসারে, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিশ্রামাগারটি নির্মাণ করা হবে হবিগঞ্জের হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার জগদীশপুরে, ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে বিশ্রামাগার হবে সিরাগঞ্জের পাঁচিলে এবং ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে ট্রাকচালকদের জন্য বিশ্রামাগার গড়ে তোলা হবে মাগুরার লক্ষীকান্দারে।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সূত্র জানায়, নিমসার ও পাঁচিলে সাড়ে ১২ একর ভূমিতে নির্মাণ করা হবে বিশ্রামাগার। জগদীশপুর ও লক্ষীকান্দারে বিশ্রামাগার গড়ে উঠবে ১৩ একর জমিতে। ১ হাজার ৮৬৩ বর্গমিটার আয়তনের দুই তলাবিশিষ্ট ভবনের আঙিনায় থাকবে ওয়ার্কশপ এবং পার্কিং এরিয়া, যেখানে অনায়াসে ৫০টি ট্রাক পার্কিং করা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৯
এমঅাইএস/এইচএ/