শুক্রবার (৪ অক্টোবর) রাজধানীর রামপুরা, খিলগাঁও, খিলগাঁও রেল গেট বাজার, শান্তিনগর ও সেগুন বাগিচা কাঁচা বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
এ সব বাজারে খুচরা প্রতিকেজি টমেটো ১১০ থেকে ১৩০ টাকা, গাজর ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
একইভাবে প্রতিকেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়ে পটল বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, ঝিঙা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ও উস্তা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁকরোল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বেগুন ৪০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ থেকে ৫০ টাকা, শসা (হাইব্রিড) ৪০ টাকা, শসা (দেশি) ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কচুর ছড়া ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কচুর লতি ৫০ থেকে ৭০ টাকা, পেঁপে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এদিকে, প্রতিকেজি ২০ টাকা কমেছে সিমের দাম। এদিন বাজারে প্রতিকেজি সিম বিক্রি করতে দেখা গেছে ১৩০ টাকা কেজি দরে। যা এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ১৫০ টাকা কেজি দরে।
এছাড়া আকার ভেদে প্রতিপিস বাঁধাকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ফুলকপি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, লাউ ৫০ থেকে ৭০ টাকা, জালি কুমড়া ৩৫ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। সবজির মতোই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের শাক। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি আঁটি শাকে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। প্রতি আঁটি (মোড়া) লাল শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, মুলা শাক ১৫ থেকে ২০ টাকা, পালং শাক ২০ থেকে ২৫ টাকা, কুমড়া শাক ২৫ থেকে ৪০ টাকা, লাউ শাক ৩০ থেকে ৫০ টাকা এবং পুঁই শাক ২০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
সবজির বাড়তি দাম নিয়ে ভিন্নমত রয়েছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে। বিক্রেতারা বলছেন, বন্যার কারণে বাজারে সবজির সংকট রয়েছে। এ কারণে সবজির বাজার চড়া। আর ক্রেতারা বলছেন বন্যার প্রভাব বাজারে না পড়লেও অতি লাভের আশায় বিক্রেতারা বাড়তি দাম রাখছেন।
শান্তিনগর বাজারের সবজি বিক্রেতা আলী হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, এখন দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যা দেখা দেওয়ায় সেখান থেকে সবজি আসছে না। এ কারণে বাজারে কিছুটা সবজি সরবরাহ কমায় বেড়েছে দামও।
এ বিষয়ে শান্তিনগর বাজারের ক্রেতা আম্বিয়া বাংলানিউজকে বলেন, বাজারে কোনো সবজির ঘাটতি নেই, শীতকালীন আগাম সবজিতে বাজার ভরা। দেশের কোথাও কোথাও বন্যা হলেও এর কোনো প্রভাব নেই বাজারে। এরপরও বেশি লাভের আশায় বিক্রেতারা দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন।
বাজারে ইলিশ মাছের দাম কমার সঙ্গে অন্য সব ধরনের মাছের দাম কমেছে। এ সব বাজারে এককেজি ওজনের ইলিশ এক হাজার থেকে এক হাজার ৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। প্রতি ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া আকার ভেদে জাটকা বিক্রি করতে দেখা গেছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়।
এছাড়া কিছুটা দাম কমে প্রতিকেজি রুই মাছ (আকার ভেদে) বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা, মৃগেল ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, তেলাপিয়া ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, পাঙাস ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, চিংড়ি হরিণা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, বাগদা ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, গলদা ৪৫০ থেকে ৮৫০ টাকা, শিং ৩০০ থেকে ৭০০ টাকা, দেশি মাগুর ৬৫০ থেকে ৮৫০, বাইম ৪০০ থেকে ৭০০ টাকা, বাইলা ৩৫০ থেকে ৬৫০ টাকা, কাচকি ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
দাম অপরিবর্তিত আছে মাংসের বাজারে। প্রতিকেজি গরু ও মহিষের মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা, খাসি ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা, ছাগল ৭০০ থেকে ৭২০ টাকা, বয়লার ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, লেয়ার (সাদা) ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, লেয়ার (লাল) ২৫০ থেকে ২৭০ টাকা কেজি দরে।
প্রতি ডজন ডিমে ৭ থেকে ১০ টাকা বেড়ে লাল (বয়লার) বিক্রি হতে দেখা গেছে ১১৫ টাকায়। যা এর আগের সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১০৫ থেকে ১০৮ টাকায়। একইভাবে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে অন্য সব ডিম। বাজারে হাঁসের ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, সোনালি মুরগির ডিম ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ২০০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। এছাড়া অপরিবর্তিত আছে চাল, ডাল ও ভোজ্য তেলের দাম।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০১৯
ইএআর/আরআইএস/