ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠান, প্রবাসীদের অর্থমন্ত্রী

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৯
বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠান, প্রবাসীদের অর্থমন্ত্রী

ঢাকা: অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রবাহ আরো বাড়ানোই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২ শতাংশ প্রণোদনার মূল লক্ষ্য। তাই যারা প্রবাসী রয়েছেন সবাই বৈধ পথে দেশে রেমিট্যান্স পাঠান।

শুক্রবার (২৬ অক্টোবর) লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৫ অক্টোবর) লন্ডনের বাংলাদেশ হাই কমিশন আয়োজিত ‘লন্ডন থেকে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রণোদনা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাইলফলক পদক্ষেপ’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

 

অনুষ্ঠানে ২০টিরও বেশি রেমিটেন্স প্রেরণকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফার সঙ্গে মতবিনিময় করেন।  

প্রবাসী বাংলাদেশিদের বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহ্বান জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, বৈধ পথে প্রবাসীরা যত খুশি রেমিট্যান্স পাঠাতে পারেন। এই রেমিট্যান্সের পরিমাণ প্রতি ট্রানজেকশনে ১৫০০ ডলারের বেশি না হলে যুক্তরাজ্যে বা বাংলাদেশে কেউ কোনো প্রশ্ন তুলবে না। বরং প্রেরিত রেমিট্যান্সের উপর ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা রেমিট্যান্স প্রেরণকারীকে দেওয়া হবে। এ জন্য ইতোমধ্যে সরকার ৩০৬০ কোটি টাকার অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে।

মুস্তফা কামাল বলেন, রেমিট্যান্সের ওপর এ প্রণোদনা ২০১৯ জুলাই থেকে কার্যকর হয়েছে। কাজেই যারা ওই সময় থেকে বাংলাদেশে বৈধ পথে টাকা পাঠিয়েছেন, তারা রেমিট্যান্স প্রেরণকারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের প্রাপ্য প্রণোদনা গ্রহণের ব্যবস্থা নিতে পারেন।  

তিনি বলেন, প্রবাসীদের কল্যাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২ শতাংশ প্রণোদনা একটি নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত। বিশ্বের আর কোনো দেশের প্রবাসীরা এ সুবিধা পাচ্ছেন না।  

মন্ত্রী জানান, রেমিট্যান্স প্রেরণের ক্ষেত্রে প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধাগুলো সার্বক্ষণিক নজরদারির জন্য যুক্তরাজ্যে হাইকমিশনারের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হবে।

প্রবাসীদের বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে প্রায় ১৩০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে। এরমধ্যে ৪০টি অঞ্চলের কাজ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রবাসীরা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখার পাশাপাশি লাভবান হতে পারেন।

আলোচনা অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনীম ঘোষণা করেন, যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে সর্বাধিক রেমিটেন্স প্রেরণকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দেওয়া হবে। তিনি বলেন, ২০২০ সাল থেকে প্রতিবছর লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশন এই সম্মাননা দেবে।  

বাংলাদেশ সময়: ০৩৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৯
টিআর/এমএ  

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।