আগামী বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২৬ অক্টোবর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আয়োজনের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর প্রদর্শনীটি হবে কুড়িলে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি)। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় চামড়াজাত পণ্য ও পাদুকা শিল্পখাতের এই বৃহত্তম আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীটির আয়োজন করেছে লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এলএফএমইএবি)।
ব্লিস-২০১৯ চামড়াজাত পণ্য ও পাদুকা শিল্পখাত সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচমেকিং ট্রেড প্ল্যাটফর্ম হিসেবে আবির্ভূত হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
ব্লিসের এবারের থিম্যাটিক ট্যাগলাইন হলো: ‘ফিউচার প্রুফ সোর্সিং!’ প্রদর্শনীটির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইন ম্যাপে উচ্চ মূল্য সংযোজন সম্পন্ন চামড়াজাত পণ্য ও পাদুকার ক্ষেত্রে ফিউচার প্রুফ সোর্সিং ডেসটিনেশন হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরা ও ব্র্যান্ডিং করা।
এলএফএমইএবির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ সায়ফুল ইসলামের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. জাফর উদ্দিন। বিশেষ বক্তা ছিলেন ঢাকায় জার্মানির রাষ্ট্রদূত পিটার ফ্যারেনহল্টজ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) তপন কান্তি ঘোষ, ব্লিস-২০১৯ এর আহ্বায়ক ও এপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের এমডি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর প্রমুখ।
ড. মো. জাফর উদ্দিন বলেন, এ বছর ব্লিস-২০১৯ ফিউচার প্রুফ সোর্সিং সলিউশন হিসেবে বাংলাদেশের প্রস্তুতি তুলে ধরবে।
এলএফএমইএবি-এর প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ সায়ফুল ইসলাম বলেন, প্রদর্শনীটির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে এই শিল্পখাতের ক্রেতা, বৈশ্বিক রিটেইলার এবং আন্তর্জাতিক সোর্সিং এজেন্টদের একই ছাদের নিচে নিয়ে আসা, যেন তারা সরাসরি স্থানীয় উৎপাদনকারী ও রপ্তানিকারকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন এবং বাংলাদেশকে এ খাতের একটি সোর্সিং হাব হিসেবে তুলে ধরা যায়।
সায়ফুল ইসলাম আরও বলেন, হংকং, ভারত, ইতালি, জাপান, ফ্রান্স, আয়ারল্যান্ড, কুয়েত ও চীন থেকে ৩০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক ক্রেতা প্রতিষ্ঠান ও ব্র্যান্ড প্রতিনিধি এই প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া জার্মানি, কানাডা, জাপান ও স্পেন মিশনে কর্মরত বাংলাদেশের কমার্শিয়াল কাউন্সিলররা এই প্রদর্শনীতে অংশ নেবেন।
ব্লিসে পণ্য প্রদর্শনী ছাড়াও, তিনটি আলাদা আলাদা ব্রেকআউট সেশন হবে, যা প্রদর্শনীর পাশাপাশি অনুষ্ঠিত হবে। এতে অংশ নেবেন সংশ্লিষ্ট আরও ২০০ অংশীদার, সেক্টর এক্সপার্ট ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর বলেন, প্রতিযোগিতামূলক উৎপাদন মূল্য, ক্রমবর্ধমান কমপ্লায়েন্স প্র্যাকটিস, দক্ষ ও কর্মক্ষম বিশাল যুব জনগোষ্ঠী, ইউরোপ ও চীন ইত্যাদি বাজারে বাণিজ্য অগ্রাধিকার প্রভৃতি নিয়ে বাংলাদেশ, চীন, ভিয়েতনাম এবং কম্বোডিয়ায় শিল্প স্থাপনের তুলনায় বাংলাদেশ একটি উদীয়মান প্রতিযোগিতামূলক জায়গা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এই প্রদর্শনীটি বাংলাদেশের চামড়াজাত পণ্য ও পাদুকা শিল্পখাতের অগ্রাধিকারে ও এ খাত সংশ্লিষ্ট সবাইকে তথ্য, জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা আদান-প্রদানে সহায়তা করবে।
প্রদর্শনীটি প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৯
এবি/এইচএ/