বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁও এনইসি-২ সম্মেলন কক্ষে এ চুক্তি সই হয়।
এতে সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মনোয়ার আহমেদ এবং বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর (বাংলাদেশ-ভুটান) মার্সি টেম্বন চুক্তিতে সই করেন।
দেশের ১৯ জেলায় ৩০টি পৌরসভায় পানি ও স্যানিটেশন সুবিধার লক্ষ্যে প্রকল্পে মোট ব্যয় হবে ১ হাজার ৭৫১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর। ৩০টি পৌরসভায় পাইপলাইনে পানি সরবরাহ, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও ফিক্যাল স্লাজ ম্যানেজমেন্টসহ সার্বিক স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হবে। সেই সঙ্গে রয়েছে পৌরসভায় ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা। ওয়াটার ও স্যানিটেশন কার্যক্রমে পৌরসভাগুলোকে জরুরি সহায়তা, পৌরসভার ওয়াটার সাপ্লাই ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার ওপর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের সক্ষমতা বাড়ানোও অন্যতম উদ্দেশ্য।
নারায়ণগঞ্জ জেলার তারাবো পৌরসভা, টাঙ্গাইলের মধুপুর, ধনবাড়ী, ভুয়াপুর পৌরসভা, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পৌরসভা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া, চট্টগামের বাঁশখালী, চান্দনাইশ পৌরসভা, কুমিল্লার হোমনা, দেবিদ্বার পৌরসভা, ফেনীর পরশুরাম, লক্ষ্মীপুরের রামগতি, নোয়াখালীর সেনবাগ, বগুড়ার কাহালু ও শিবগঞ্জ পৌরসভা।
এছাড়াও জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি, আক্কেলপুর পৌরসভা, নাটোরের বনপাড়া, বড়াইগ্রাম পৌরসভা, চাঁপাইনবাগঞ্জের নাচোল পৌরসভা, রাজশাহীর কাটাখালী, তাহিরপুর, বাঘা পৌরসভা, সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ ও উল্লাপাড়া, যশোরের চৌগাছা, মেহেরপুরের গাংনী পৌরসভা, মৌলভীবাজারের বড়লেখা ও কমলগঞ্জ এবং জামালপুরের ইসলামপুর পৌরসভায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে, পৌরসভাগুলোর পাইপলাইনে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা, ফিক্যাল স্ল্যাজ, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপন করা, ড্রেনেজ ব্যবস্থা স্থাপন ও উন্নয়ন করা, ৯০টি পাবলিক টয়লেট স্থাপন, বাড়িঘরে ৯ হাজার উন্নত ল্যাট্রিন নির্মাণ, বিদ্যমান পানির উৎসগুলো পুনরুজ্জীবিতকরণ, পানির মিটার স্থাপন, গারবেজ ট্রাক ক্রয়, পৌরসভার জন্য ভেকু সংগ্রহসহ অন্য যন্ত্রপাতিও সংগ্রহ করা হবে।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে ইআরডি সচিব মনোয়ার আহমেদ বলেন, বিশ্বব্যাংক আমাদের পরম বন্ধু। অনেক উন্নয়নমূলক প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক আমাদের ঋণ দিয়ে আসছে। সেই ধারাবাহিকতায় এই ঋণটি পেয়েছি। জনগণের এই অর্থের সর্বোত্তম ব্যবহার করতে হবে। পাশাপাশি প্রকেল্পের যথাযথ মান নিশ্চিত করতে হবে। কোনোভাবেই জনগণের অর্থের অপচয় করা যাবে না।
বিশ্বব্যাংকের ঋণের ওপর বার্ষিক শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ এবং ১ দশমিক ২৫ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে। ঋণের পাঁচ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরে পরিশোধ করতে হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ মেয়াদে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৯
এমআইএস/এফএম/এএ