বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) মিলনায়তনে বিআইবিএম আয়োজিত ‘ফাইন্যান্সিয়াল লিটারেরি অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ক্যাপাসিটি অব ওমেন এন্ট্রাপ্রেনার্স ইন স্মল ফার্ম অ্যান্ড এক্সেস টু ফরমাল সোর্স অব ফাইন্যান্স’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এ কথা বলেন।
বক্তারা বলেন, ঋণ পেতে জামানতের চেয়ে আর্থিক শিক্ষা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
প্রতিবেদন উপস্থাপনায় বিআইবিএম সহকারী অধ্যাপক ড. মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, বিদেশ থেকে ফ্রি ফান্ড, স্বল্প সুদে ঋণ বিতরণ, ঋণ গ্রহণে উদ্যোক্তাদের সরকারি যেসব নথি প্রয়োজন হয়, তা দ্রুত পাওয়ার ব্যবস্থা করা। ব্যাংকার-উদ্যোক্তা ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটানো, উদ্যোক্তাদের ক্যাপাসিটি বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, গ্রামের উদ্যোক্তাদের ঋণ পাওয়ার জন্য লেনদেনের হিসাব রেজিস্টার খাতায় লিপিবদ্ধ করে রাখার পরামর্শ দিতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রাম ডিপার্টমেন্টের মহাব্যবস্থাপক লীলা রশিদ বলেন, নারী উদ্যোক্তা এবং নতুন উদ্যোক্তাদের ঋণ পাওয়ার জন্য জামানত ও গ্যারান্টার এখনো সবচেয়ে বড় সমস্যা। নারী উদ্যোক্তাদের অর্থায়ন করার জন্য সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় সোনালী ব্যাংক। ব্যাংকগুলোর কাছে এসএমই সেক্টর একটি অবহেলার অংশ। যদিও আমরা বলি অগ্রাধিকার সেক্টর। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় সবকিছু করে রাখলেও ব্যাংকগুলো কোনো কাজই করছে না এসএমই নিয়ে।
তিনি আরও বলেন, বেসরকারি ব্যাংকগুলো মুনাফা করে। এর কারণ হচ্ছে তারা ঋণ বিতরণ না করে শুধু আমানত সংগ্রহ করে। আর এতেই ম্যানেজমেন্ট অনেক খুশি। ব্রাঞ্চ ম্যানেজার ঋণ দেওয়ার সাহসই পায় না, খেলাপি হওয়ার ভয়ে। বড় বড় কয়েকটি ডিপোজিট সংগ্রহ করেই দায় সারে। কিন্তু সরকারি ব্যাংক অনেকগুলো সামাজিক সেবা দিয়ে থাকে।
বিআইবিএম’র সুপারনিউমারী অধ্যাপক ইয়াছিন আলী বলেন, নারী উদ্যোক্তাদের মধ্যে একটি পারিবারিক ট্যাবু আছে। আগে সেটি ভাঙতে হবে। পরিবারে পুরুষের মতো তাকেও নিজের মতো ব্যবসা পরিচালনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের স্বাধীনতা অর্জন করতে হবে। সবসময় স্বামী, বাবা ও ভাইয়ের উপর নির্ভরশীল হয়ে বসে থাকলে হবে না।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গর্ভনর এসএম মনিরুজ্জামান বলেন, দেশের রুর্যাল এবং সেমি-রুর্যাল এলাকাগুলোতে এমএসএমই এবং এসএমই ঋণ বিতরণে সমস্যা দূর হয়নি। ঋণ পাওয়ার জন্য জামানত এবং গ্যারান্টার পাওয়া অনেক কঠিন। তিনি কতদিন ধরে কাজ করছেন কতটুকু সফল হয়েছেন তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিআইবিএম’র প্রফেসর অ্যান্ড রিচার্স ডিরেস্টর ড. প্রশান্ত কুমার ব্যানার্জি।
বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন বিআইবিএম সুপারনিউমারি অধ্যাপক হেলাল আহমেদ চৌধুরী, ড. মোজাফ্ফর আহমেদ চেয়ার প্রফেসর বরকত-এ খোদা, একে গঙ্গোপাধ্যায়, চেয়ার প্রফেসর এসএ চৌধুরী, ব্র্যাক ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর চৌধুরী আখতার আসিফ, আইসিটি মন্ত্রণালয়ের ইনেভস্টমেন্ট অ্যাডভাইসর টিনা এফ জাবিন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৯
এসই/জেডএস