শনিবার (০২ নভেম্বর) রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে ‘বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে বেসরকারি খাতের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
এসডিজি অর্জনে প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিতে বক্তাদের প্রস্তাবের বিপরীতে এম এ মান্নান বলেন, প্রযুক্তি নতুন কিছু নয়। প্রতিনিয়ত প্রযুক্তির উন্নয়ন হচ্ছে। প্রযুক্তির উন্নয়নের আগে প্রয়োজন ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা। প্রযুক্তির মাধ্যমে অনেক ক্ষতিকর কাজ করা যায়। যা অতীতেও হয়েছে, বর্তমানেও হচ্ছে। প্রযুক্তির যখন সূচনা হয়েছিল, তখন থেকেই এর কল্যাণকর দিক বিবেচনা করে সবকিছু শুরু হলেও অপব্যবহার তখন থেকেই শুরু হয়েছে। ইতিহাসে এর অনেক প্রমাণ রয়েছে।
এসডিজি বাস্তবায়নে সরকারের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, আমরা জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে মতামত গ্রহণ ও উদাহরণ পর্যবেক্ষণ করে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। শুধুমাত্র সরকার একা কাজ করে এসডিজি অর্জন করতে পারবে না। বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসতে হবে এবং ভূমিকা রাখতে হবে। তবে এক্ষেত্রে সরকারের আরও অনেক কিছু করণীয় আছে। যা সরকার পর্যবেক্ষণ করে প্রতিনিয়ত সম্পাদন করছে।
বাংলাদেশ প্ল্যানিং কমিশনের জেনারেল ইকোনোমিকস বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) অধ্যাপক ড. সামশুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ, ইউএনডিপির বাংলাদেশ প্রতিনিধি সুদীপ্ত মূখার্জী, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান বেনজির আহমেদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, এসডিজিতে বেসরকারি খাতকে সংযুক্ত করা সহজ কাজ নয়। এক্ষেত্রে সরকারের নীতিমালায় সবচেয়ে বড় বাধা রয়েছে। কিন্তু সরকার চেষ্টা করে যাচ্ছে বিষয়টিকে সহজ করার জন্য। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) আরও উন্নয়ন দরকার। সরকারের সঙ্গে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সম্পর্ক ভালো নয়। ফান্ড আরও বেশি বাড়ানো প্রয়োজন। বেসরকারি খাতকে নিয়ম মতো টাকা পরিশোধ করায় সরকারের নজরদারি আরও বাড়ানো প্রয়োজন।
বক্তারা আরও বলেন, সাধারণ মানুষ এখন পর্যন্ত পরিষ্কারভাবে জানে না এসডিজি ও পিপিপি কী। তাদের এগুলো জানাতে হবে। কেননা আমাদের বেশিরভাগ উন্নয়ন আসে ব্যক্তিগত বিনিয়োগ থেকে। তাই তাদের বাদ দিলে এসডিজি অর্জন করা একেবারেই অসম্ভব।
রেমিটেন্সের ওপর গুরুত্বারোপ করে বক্তারা বলেন, দেশের ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষ বিদেশে অবস্থান করছে। বর্তমানে তারা বছরে প্রায় ১৬ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পাঠাচ্ছে। ১৯৭৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ২০৫ বিলিয়ন ডলার বাংলাদেশে এক খাত থেকে আয় করেছে। এটা দেশের জন্য অনেক বড় একটি আয়ের উৎস। এজন্য এই খাতকে নজরদারির আওতায় এনে বিষয়টিকে সহজ করার মাধ্যমে আরও বেশি আয় করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৯
এমএএম/আরবি/