বন্দরের সব জাহাজের মালামাল লোড-আনলোড বন্ধ রয়েছে। এদিকে শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাতে জরুরি সভা করছে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফকর উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, বন্দরের নিজস্ব একটি সতর্ক সংকেত রয়েছে। আমাদের সংকেতের সর্বোচ্চ মাত্রা চার। আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারির পরে আমরা বন্দরে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করেছি। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংকেত ৮- এ পৌঁছালে বন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতা ৪ জারি করা হবে।
এছাড়া আমরা বন্দরে মালবাহী কোস্টারগুলোকে কোস্টগার্ডের সহায়তায় খুলনার দিকে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছি। অন্যান্য জাহাজকেও মোটামুটি নিরাপদে থাকার জন্য বলা হয়েছে। সব জাহাজের মালামাল লোড-আনলোড বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়ার পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত এসব আদেশ জারি থাকবে বলেও জানান বন্দরের এ কর্মকর্তা।
বন্দরে এ মুহূর্তে মেশিনারি, ক্লিংকার, সার, জিপসাম, পাথর, সিরামিক ও কয়লাসহ দেশি-বিদেশি মোট ১৪টি বাণিজ্যিক জাহাজ অবস্থান করছে।
এদিকে সুন্দরবনের দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পাশাপাশি বনে ভ্রমণে থাকা পর্যটকদের ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে সুন্দরবনে দুবলারচরে শুঁটকি পল্লিতে অবস্থারত ১৫ হাজার জেলেকে ফিরিয়ে আনতে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে। সুন্দরবন বিভাগের সব কর্মকর্তা ও বনরক্ষীদের নিরাপদ থেকে বন্যপ্রাণী রক্ষায় কাজ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মাহমুদুল হাসান।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৯
এসএইচ