সোমবার (১১ নভেম্বর) সকালে নাইরোবির উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন পরিকল্পনামন্ত্রী। তার নেতৃত্বে উন্নয়ন কৌশলে জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং যৌন এবং প্রজননস্বাস্থ্যের বিষয়গুলোও ঠাঁই পাবে আইসিপিডিতে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় জানায়, বিগত বছরের চেয়ে বাংলাদেশের মানুষের বর্তমান গড় আয়ু কিছুটা বেড়ে ৭২ দশমিক তিন হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষের আয়ু ৭০ দশমিক আট বছর। আর নারীর ৭৩ দশমিক আট বছর। কেননা, ২০১৭ সালে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ছিল ৭২ বছর। ২০১৬ সালে ৭১ দশমিক ছয় ছিল। ২০১৫ সালে ৭০ দশমিক নয়। ২০১৪ সালে ছিল ৭০ দশমিক সাত বছর। ২০১৩ সালে গড় আয়ু ছিল ৭০ দশমিক চার বছর। এছাড়া ২০০৮ সালে গড় আয়ু ছিল ৬৬ দশমিক আট বছর। এসব বিষয় নিয়েও আলোচনা হবে আইসিপিডিতে।
এদিকে, প্রতিবছর বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস প্রকাশ করে থাকে। এ পরিসংখ্যানের মাধ্যমে একজন মানুষের জন্ম, মৃত্যু, জীবনসীমা- এসব অবধারিত বিষয়ের চিত্র উঠে আসে।
বিবিএস জানায়, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি আট দশমিক ১৩ ভাগ। মাথাপিছু আয়ের পরিমাণ এক হাজার ৯০৯ ডলার। এছাড়া অর্থনৈতিক ও সামাজিক সূচকে এগিয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে। দেশে দারিদ্র্য হার কমছে। ক্ষুধামুক্ত দেশ সব খাতে এগিয়ে যাচ্ছে। আর এমন চিত্র উঠে এসেছে এমএসভিএস প্রকল্পের ২০১৮ সালের জরিপে।
এছাড়া ২০১৮ সালে জনসংখ্যার স্বাভাবিক বৃদ্ধির হার এক দশমিক ৩৩ শতাংশ। যা ২০১৭ সালে ছিল এক দশমিক ৩৪ শতাংশ।
এসব বিষয়ও নাইরোবির এই সামিটে তুলে ধরবেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৯
এমআইএস/টিএ