তিনি বলেছেন, সব সময়ই ঈদের আগে চামড়ার একটি দাম নির্ধারণ করে দিই৷ কিন্তু ব্যবসায়ীরা কথা দিয়ে যাওয়ার পরও সে দামে চামড়া কেনে না। তাই আমরা চিন্তা করছি আগামী বছর থেকে সরকারই সরাসরি চামড়া কিনবে মানুষের কাছ থেকে।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পেঁয়াজের বর্তমান পরিস্থতি নিয়ে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান। এ সময় বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দিনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চামড়াসহ অন্যান্য পণ্যের দাম নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, সবসময়ই চামড়ার একটি দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। এবারও ব্যবসায়ীরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এসে চামড়ার দামটি ঠিক করেছিলেন। কোরবানির একদিনেই মূল চামড়াটা হয়। দুই তিনদিনের মধ্যে সেটা কিনতে হয়। তারা (ব্যবসায়ী) এই কথা দিয়ে যাওয়ার পরও সে দামে কেনেননি।
‘এতে যদি আমার ব্যর্থতা থেকে থাকে তাহলে আমি ব্যর্থ। কারণ সেই সময় আমি একেবারেই নতুন অভিজ্ঞতা নিয়েছি। সেজন্য আমি একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও আমার কথা হয়েছে। আগামীবার আমরা নিজেরাই চামড়া কিনবো। টিসিবির মাধ্যমে সব জেলায় নিজেরা কিনবো। যাতে তাদের (ব্যবসায়ী) কথার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ঠকে না যাই। ’
তিনি বলেন, কথা হয়েছিল গড়ে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকায় চামড়া কেনা হবে। আগের বছর কোরবানিতে আড়াইশ থেকে তিনশ টাকায় আর এবার আরও কম দামে চামড়া কিনেছেন ব্যবসায়ীরা। আমাকে তাদের কথার উপর ভরসা করতে হয়েছিল। সেটা ছিল আমার জানার প্রথম জায়গা।
সরকারের নির্ধারণ করে দেওয়া দাম অনুযায়ী, ঢাকায় কোরবানির গরুর প্রতিটি ২০ থেকে ৩৫ বর্গফুট চামড়া লবণ দেওয়ার পরে ৯০০ থেকে ১ হাজার ৭৫০ টাকায় কেনার কথা ট্যানারি মালিকদের।
কিন্তু এবার ফড়িয়া বা মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীদের দেখা মেলেনি। কোথাও কোথাও মৌসুমী ব্যবসায়ীরা ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায় চামড়া কিনেছেন। আর রাজধানীর বাইরে দেশের অন্যান্য স্থানে চামড়া বেচা-কেনা হয়েছে আরো কম দামে। আবার কেউ কেউ চামড়া মাটিতেই পুতে ফেলেন বিক্রি না করে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৯
জিসিজি/এমএ