বুধবার (২০ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিদিনের মতো এদিনও সবজি, মাছ, ফলের সরবরাহ ছিল স্বাভাবিক। তবে আগামীকাল (২১ নভেম্বর) পণ্যের মূল্য কিছুটা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন ব্যাবসায়ী।
তারা বলছেন, পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘটের কারণে রাজধানীর বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ কমে যাবার একটা সম্ভাবনা আছে। তবে ধর্মঘট বুধবার সকাল থেকে শুরু হওয়ায় মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) রাতে পণ্য এসেছে নিত্যদিনের মতোই। এছাড়া বাজারও এখনো স্থিতিশীল। নতুন করে কোনো পণ্যের দাম বাড়েনি।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সবজি ব্যবসায়ী মো. আলাউদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, ধর্মঘটের কারণে বুধবার রাতে বিভিন্ন জেলা থেকে ট্রাক না আসলে কমে যাবে পণ্যের সরবরাহ। এতে এসব সবজির দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মোটামুটি স্বস্তি রয়েছে সবজির বাজারে। কমেছে পেয়াজের মূল্যও। বুধবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার (খুচরা বাজার) ঘুরে মিলেছে এমন চিত্রই।
বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিকেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়, গাজর ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পটোল ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, ঝিঙা-ধুন্দল ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, করলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কাকরোল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, বেগুন ৩০ থেকে ৪৫ টাকা, ঢ্যাঁড়স ২৫ থেকে ৩৫ টাকা, পেঁপে ১৫ থেকে ২০ টাকা, শসা (প্রকারভেদে) ৩০ থেকে ৪০ টাকা, কচুর ছড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কচুর লতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কাঁচামরিচ প্রতিকেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকাতে বিক্রি হচ্ছে।
আকারভেদে প্রতিটি বাঁধাকপি ২০ থেকে ২৫ টাকা, ফুলকপি ১৫ থেকে ৪০ টাকা, লাউ ৩০ থেকে ৪০ টাকা, জালিকুমড়া ২০ থেকে ৩০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৩০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
সবজির সঙ্গে কমেছে শাকের দামও। বাজারে প্রতি আঁটি লালশাক ৮ থেকে ১০ টাকা, মুলাশাক ৮ থেকে ১২ টাকা, পালংশাক ১৫ থেকে ২০ টাকা, লাউশাক ২৫ থেকে ৩০ টাকা, কচুশাক প্রতি আঁটি ৫ থেকে ৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা বলেন, কাঁচাবাজারের দাম সবসময় এক থাকে না। বাজারে মালামাল বেশি হলে দাম কমে, আবার ঘাটতি থাকলে দাম বেড়ে যায়। এখন শীতের প্রায় সব সবজি বাজারে আসতে শুরু করেছে, তাই দাম কিছুটা কম। তবে সংকট দেখা দিলে মূল্য বেড়ে যাবে দ্রুতই।
বাংলাদেশ সময়: ১০০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৯
এইচএমএস/এসএ