প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জাহাজগুলোর উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ ও চীন সরকারের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী, ছয়টি জাহাজ সংগ্রহে ব্যয় ধরা হয় এক হাজার ৬৩৭ কোটি ১৫ লাখ টাকা।
শেখ হাসিনার দুরদর্শী নেতৃত্ব ও দিক নির্দেশনায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় বিএসসির জন্য নতুন ছয়টি জাহাজ সংগ্রহ করেছে।
জাহাজগুলোর মধ্যে তিনটি প্রোডাক্ট অয়েল ট্যাংকার (তেলবাহী) এবং তিনটি বাল্ক ক্যারিয়ার (পণ্যবাহী)। ছয়টি জাহাজের মধ্যে প্রথমটি ‘এমভি বাংলার জয়যাত্রা’ ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেন।
বৃহস্পতিবার দু’টি বাল্ক ক্যারিয়ার ও তিনটি প্রোডাক্ট অয়েল ট্যাংকার উদ্বোধন করা হবে। জাহাজগুলো হলো- ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’, ‘এমভি বাংলার অর্জন’, ‘এমটি বাংলার অগ্রযাত্রা’, ‘এমটি বাংলার অগ্রদূত’ এবং ‘এমটি বাংলার অগ্রগতি’।
তিনটি বাল্ক ক্যারিয়ার জাহাজ ‘এমভি বাংলার জয়যাত্রা’, ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’, এমভি বাংলার অর্জন’ যথাক্রমে ২০১৮ সালের ২৭ জুলাই, ১০ অক্টোবর ও ডিসেম্বরে পাওয়া গেছে। আর তিনটি প্রোডাক্ট অয়েল ট্যাংকার জাহাজ ‘এমটি বাংলার অগ্রযাত্রা’; ‘এমটি বাংলার অগ্রদূত’; ‘এমটি বাংলার অগ্রগতি’ যথাক্রমে ২০১৯ সালের ২৫ জানুয়ারি, ১ মার্চ এবং ২৫ মে ডেলিভারি পাওয়া গেছে।
বর্তমানে সবকটি জাহাজই আন্তর্জাতিক সমুদ্র পথে বাণিজ্যিক কার্যক্রমে নিয়োজিত আছে এবং আন্তর্জাতিক সমুদ্র পথে বাংলাদেশ প্রতিনিধিত্ব করছে। এ ছয়টি জাহাজ থেকে প্রতি বছর প্রায় ৭৯ কোটি টাকা মুনাফা হবে বলে আশা করছে মন্ত্রণালয়।
নৌ মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্বাধীনতা লাভের পর বাংলাদেশের সমুদ্রগামী কোনো জাহাজ ছিল না। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের বহির্বাণিজ্য পরিবহনের জন্য সম্পূর্ণ বিদেশি জাহাজের উপর নির্ভর না হয়ে স্বাধীনতার মাত্র ছয় মাসের মধ্যে বিএসসি’র জন্য ‘এমভি বাংলার দূত’; ২৯ মাসের মধ্যে ১৪টি জাহাজ এবং ১৯৭৪ সালের মধ্যে ২৬টি জাহাজের ব্যবস্থা করেন, যা পর্যায়ক্রমে বিএসসির বহরে সংযোজিত হয়। পরে পর্যায়ক্রমে বিএসসি’র বহরে সর্বমোট ৩৮টি সমুদ্রগামী জাহাজ সংগৃহীত হয়।
সংগ্রহকৃত জাহাজগুলো দীর্ঘদিন চালানোর পর সর্বশেষ মাত্র ২টি ট্যাংকার জাহাজ বিএসসি’র বহরে বিদ্যমান থাকে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর বিএসসি’র জন্য সর্বাধুনিক ৬টি সমুদ্রগামী জাহাজ ক্রয় করায় বর্তমানে বিএসসির বহরে ৮টি জাহাজ রয়েছে। আরও ৬টি মাদার ভ্যাসেল (বড় জাহাজ) ও ৪টি কন্টেইনার জাহাজ ক্রয় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বিএসসি’র সর্বশেষ জাহাজ অর্জনের সুদীর্ঘ ২৭ বছর পর আলোচ্য প্রকল্পের জাহাজগুলো সংগ্রহের ফলে বিএসসির সামুদ্রিক পণ্য পরিবহন ক্ষমতা আনুমানিক ২ লাখ ৩৪ হাজার ডিডব্লিউটি বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে বিএসসি’র মোট আয় ছিল ২২২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা এবং মোট ব্যয় ছিল ১৬৭ কোটি ৭৫ কোটি টাকা। নিট মুনাফা হয়েছে ৫৫ কোটি ২৩ লাখ টাকা। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে মুনাফা ছিল ১২ কোটি ৫২ লাখ টাকা। নতুন ৬টি জাহাজ যুক্ত হওয়ায় গত বছর থেকে এবছর নিট আয় বেড়েছে ৪২ কোটি ৭১ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৯
এমআইএইচ/জেডএস