ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

দারিদ্র্য নিয়ে সানেমের গবেষণা অযৌক্তিক: অর্থমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২১
দারিদ্র্য নিয়ে সানেমের গবেষণা অযৌক্তিক: অর্থমন্ত্রী

ঢাকা: বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার ৪২ শতাংশ—বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সানেমের এমন গবেষণাকে অযৌক্তিক ও আজব বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বুধবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে অনলাইনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার ৪২ শতাংশ, সানেমের গবেষণার বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, অর্থমন্ত্রী হিসেবে আমার যে মতামত সেটা হলো তিনি যদি মেহেরবানি করে বলতে পারেন যে, কয়টা গ্রামে ও কয়জন মানুষের সাথে কথা বলেছেন, কীভাবে তিনি এ তথ্য সংগ্রহ করলেন। আমাদের দেশের জনমানুষের সংখ্যার মধ্যে ৫০০/ ৭০০/ ৩০০ মানুষ এগুলো কোথা থেকে নেবেন সেটা কথা না। সারা দেশে থেকে নিতে পারেন, কিন্তু দেখে দেখে... যাক এ বিষয়ে আমি কথা বলব না। আপনারা জানেন পুরাটাই অযৌক্তিক, পুরাটাই সর্বাঙ্গে বিচ্যুতি হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আপনারাও গ্রামে যাচ্ছেন শহরে থাকছেন। আপনাদের ধারণা কী? আমাদের গরিবের হার বেড়ে গেছে! কি আজব কথাবার্তা বলে!

করোনার কারণে দারিদ্র্য বেড়ে গেছে কিনা জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, করোনার কারলে যদি কেউ না খেয়ে থাকে, যে কাজে ছিল সেটা যদি না করে, তাহলে সেটা বলতে পারেন। তবে আমরা যে যে কাজে ছিলো সেটা ফেরত দেওয়া হয়েছে। আর না খেয়ে একজনও নেই। আপনি বললে বলতে পারেন না খেয়ে আছে। সেটা আপনারা বলতে পারেন। এ ধরনের কোনকিছু নেই। এটা বলাটা সহজ বাংলাদেশের সবাই গরিব, সবাই না খেয়ে আছে, এটা বলায় কী অসুবিধা?

আপনাদের হিসাবে দারিদ্র্য বেড়েছে কিনা জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, অতি কাছাকাছি সময়ে আমাদের পরিসংখ্যান ব্যুরো এটার কাজ করেছে বলে আমার মনে হয় না। এটা কোভিডের আগে সে সব ফিগার ছিল সেগুলো আমরা ব্যবহার করি। এখন পরবর্তীতে তারা আবার জরিপ চালাবে তখন আমরা আবার লেটেস্ট পজিশন জানতে পারব।

মুস্তফা কামাল বলেন, আজ অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে দুটি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে আমরা একটি প্রস্তাবের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছি, একটি প্রস্তাব ফেরত দিয়েছি। আর ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে ৮ প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে ৭ প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে খরচ হবে ১১৪২ কোটি ৬৯ লাখ ৯৮ টাকা। মোট অর্থায়নের মধ্যে জিওবি খাত থেকে পাওয়া যাবে ১১১০ কোটি ৭৭ লাখ ৩৬ হাজার ৪০১ টাকা এবং বিশ্বব্যাংক ও জাইকা থেকে ঋণ হিসেবে পাওয়া যাবে ৩১ কোটি ৯২ লাখ ৮৪ হাজার ৬৯৭ টাকা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২১
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।