ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

চাল আমদানিতে এলসি খোলা যাবে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২১
চাল আমদানিতে এলসি খোলা যাবে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত

ঢাকা: দেশে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে বেসরকারিভাবে চাল আমদানিতে ঋণপত্র (লেটার অব ক্রেডিট-এলসি) খোলার সময় বাড়লো ১৫ দিন। আগের নির্ধারিত সময় অনুযায়ী এলসি খোলার শেষ সময় ছিল ৩১ জানুয়ারি।

এবার সেটা বাড়িয়ে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

রোববার (৩১ জানুয়ারি) খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে এলসি খোলার সময় বাড়িয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বেসরকারি পর্যায়ে আমদানি করা চাল যথাযথভাবে বাজারজাত করা হচ্ছে কি না তা তদারকির জন্য আট জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি) ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বেসরকারিভাবে চাল আমদানির জন্য মোট ৩২০টি প্রতিষ্ঠানের অনকূলে বরাদ্দকৃত চাল আমদানির জন্য এলসি খোলার সময়সীমা আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হলো। এলসি সম্পর্কিত তথ্য (পোর্ট অব এন্ট্রিসহ) তাৎক্ষণিকভাবে ই-মেইলে ([email protected]) জানাতে হবে।

এক্ষেত্রে বরাদ্দপত্রে উল্লিখিত সময়সীমার মধ্যে আবশ্যিকভাবে আমদানির সব চাল বাংলাদেশে বাজারজাত করতে হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

এবার আমন মৌসুমে মোটা চালের দাম ৫০ টাকা ছুঁয়েছে। চালের দাম দুর্ভোগে ফেলেছে সাধারণ মানুষকে। এ পরিস্থিতিতে চাল আমদানির শুল্ক কমিয়ে নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় চাল আমদানির উদ্যোগ নেয় সরকার।  

খাদ্য মন্ত্রণালয় সর্বশেষ ১৭ জানুয়ারি ৬৩ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ৯১ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছিল। এ পর্যন্ত পাঁচ দফায় বেসরকারিভাবে মোট আট লাখ ৭৩ হাজার ৫০০ টন চাল আমদানির অনুমতি দিল সরকার।  

চাল আমদানির শর্তে বলা হয়েছে, বরাদ্দপত্র ইস্যুর সাতদিনের মধ্যে ঋণপত্র (এলসি) খুলতে হবে। এ সংক্রান্ত তথ্য খাদ্য মন্ত্রণালয়কে তাৎক্ষণিক ই-মেইলে জানাতে হবে। ব্যবসায়ীদের মধ্যে যারা এক থেকে পাঁচ হাজার টন বরাদ্দ পেয়েছেন, তাদের এলসি খোলার ১০ দিনের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং ২০ দিনের মধ্যে বাকি চাল বাজারজাত করতে হবে।

এছাড়া যেসব প্রতিষ্ঠান পাঁচ হাজার থেকে ১০ হাজার টন পর্যন্ত বরাদ্দ পেয়েছে, তাদের এলসি খোলার ১৫ দিনের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং ৩০ দিনের মধ্যে বাকি ৫০ শতাংশ চাল এনে বাজারজাত করতে হবে বলে শর্ত দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। বরাদ্দের অতিরিক্ত আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) ইস্যু করা যাবে না বলেও শর্ত দেওয়া হয়েছে।

এরমধ্যে গত ৩ জানুয়ারি ১০ প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ পাঁচ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। এরপর ৪ জানুয়ারি আরও ১৯ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে দুই লাখ ২৫ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়।

অন্যদিকে গত ৬ জানুয়ারি ৪৯টি প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ ৭৪ হাজার ৫০০ টন এবং ১০ জানুয়ারি ৬৪টি প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ ৭১ হাজার ৫০০ টন চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়। এছাড়া গত ১৩ জানুয়ারি ৪৩ প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ ছয় হাজার ৫০০ টন চাল আমদানির অনুমতি দেয় সরকার এবং সর্বশেষ ১৭ জানুয়ারি আরও ৬৩ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ৯১ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার।

জানা গেছে, বাজার নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত বেসরকারিভাবে চাল আমদানি অব্যাহত রাখা হবে। এছাড়া সরকারিভাবে চার লাখ মেট্রিক টন, জিটুজি পদ্ধতিতে দেড় লাখ মেট্রিক টন সিদ্ধ ও আতপ চাল আমদানি করা হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১২২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২১
জিসিজি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।