ঢাকা: সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে মুরগি, ডিম, লেবুর। তবে দাম কমেছে আলুসহ বিভিন্ন সবজির।
শুক্রবার (৫ মার্চ) সকালে রাজধানীর মিরপুরের মুসলিম বাজার, ১১ নম্বর বাজার, মিরপুর কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকা ঘুরে এসব চিত্রই দেখা গেছে।
এসব বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি মুলা ২০ টাকায়, শালগম ২০ টাকায়, গাজর ২০ থেকে ৩০ টাকায়, শিম ৩০ থেকে ৪০ টাকায়, বেগুন ৩০ টাকায়, করলা ৮০ টাকায়, ঢেঁড়স ৩০ থেকে ৪০ টাকায়, টমেটো ২০ টাকায়, বরবটি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৫০ টাকায়, ফুলকপি ২০ টাকায়, বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৩০ টাকা, আলু বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা কেজি দরে, পেঁয়াজের দাম ৩৫ টাকা কেজি।
হালিতে ৫ টাকা কমে কলা বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়। কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে। প্রতি কেজি পেঁপে ২০ থেকে ৩০ টাকায়, খিরাই ২০ থেকে টাকায়, শসা ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভেন্ডির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। মটরশুঁটির কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা। প্রতি কেজি চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। ২০ টাকা দাম বেড়ে লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়।
এছাড়া মরিচ প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, রসুনের কেজি ৮০ থেকে ৯০ টাকা।
বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৬৮ থেকে ৭০ টাকায়। প্রতি কেজি বিআর-২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৫ টাকায়, মিনিকেট ৬৫ টাকায়, নাজির ৬৫ থেকে ৬৮ টাকায়, স্বর্ণা চাল ৪৬ থেকে ৪৭ টাকায়, পোলাওয়ের চাল ৯০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খোলা ভোজ্যতেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায়।
৫ টাকা দাম বেড়ে প্রতি ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন ১৫০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ২০০ টাকা। পাকিস্তানি মুরগির ডিমের ডজন ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
প্রতি কেজিতে ৬০ টাকা দাম বেড়ে সোনালী মুরগি ৩০০ টাকায় ও ব্রয়লার মুরগি ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লেয়ার মুরগি কেজি ২০০ টাকা।
এসব বাজারে অপরিবর্তিত আছে গরু ও খাসির মাংস এবং মসলাসহ অন্যান্য পণ্যের দাম। বাজারে প্রতি কেজি খাসির মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায়, বকরির মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায়, গরুর মাংস ৫৫০ টাকায়, মহিষ ৫৫০ থেকে ৫৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এসব বাজারে প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকায়, মাগুর মাছ ৬০০ টাকায়, প্রতি এক কেজি শিং মাছ (আকারভেদে) ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, মৃগেল ১১০ থেকে ১৫০ টাকায়, পাঙ্গাস ১২০ থেকে ১৫০ টাকায়, ইলিশ প্রতি কেজি (আকারভেদে) ৮৫০ থেকে ১,০০০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায়, বোয়াল মাছ প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়, কাতল ১৭০ থেকে ২৮০ টাকায়, ফোলি মাছ ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়, পোয়া মাছ ২০০ থেকে ২৫০ টাকায়, পাবদা মাছ ১৫০ থেকে ২৫০ টাকায়, টেংরা মাছ ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়, টাটকিনি মাছ ১০০ টাকায়, তেলাপিয়া ১৪০ টাকায়, সিলভার কার্প ১০০ থেকে ১৪০ টাকায়, কৈ দেশি মাছ ১৫০ থেকে ৭০০ টাকায়, কাঁচকি ও মলা বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকায়, আইড় মাছ ৫০০ টাকায়, রিঠা মাছ ২২০ টাকায় ও কোরাল ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায়, গুড়া বেলে ১২০ টাকায়, রূপ চাঁদা মাছ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মিরপুর ১১ নম্বর বাজারের মুরগি বিক্রেতা মো. হামিদুল বাংলানিউজকে বলেন, খুচরা বাজারে মুরগির দাম চড়া যাচ্ছে। করোনাকালে ফার্মগুলো অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ায় ছোট পোলট্রি ফার্মগুলো এখনো ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারেনি। এ ফার্মগুলোর মালিকরা এখন আর নতুন করে ব্যবসায় বিনিয়োগ করছেন না। এ কারণে চাহিদা অনুযায়ী মুরগির উৎপাদন কম। আসা করছি, ২০-২৫ দিনের মধ্যে মুরগির দাম কমে আসবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ৫, ২০২১
এমএমআই/এসআই