ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বিটুমিন ব্যবহারে কড়া নজরদারি চাই: শামসুল হক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৪ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২১
বিটুমিন ব্যবহারে কড়া নজরদারি চাই: শামসুল হক

ঢাকা: দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নকে টেকসই করতে হলে পাকা সড়ক নির্মাণ ও তার স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিবছর সরকার এ খাতে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করলেও দীর্ঘমেয়াদে স্থায়ী হচ্ছে না সড়ক।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিম্নমান ও ভেজাল মিশ্রিত বিটুমিন ব্যবহারেই হচ্ছে এমনটা। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ড. শামসুল হক মনে করেন, বিটুমিন আমদানি থেকে সড়কে ব্যবহার করার প্রতিটি ধাপে কড়া নজরদারি প্রয়োজন। বিটুমিন ব্যবহার নিয়ে গণমাধ্যমের কাছে বিস্তারিতভাবে মতামত জানিয়েছেন ড. শামসুল হক। তার সাক্ষাৎকারটি থাকছে এখানে-

নিম্নমানের বিটুমিন আমদানি
ঠিকাদারদের মধ্যে একটা প্রবণতা আছে যে, আন্তর্জাতিক বাজারে যেসব দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আছে সেখান থেকে বিটুমিন নিয়ে আসার। কারণ সেখানে সস্তায় পাওয়া যায় বিটুমিন। ঠিকাদার একটা কমার্শিয়াল এনটিটি বা বাণিজ্যিক সত্তা। কাজেই তিনি তার মুনাফার জন্য গুণগতমানের সঙ্গে আপস করতেই পারেন।

ব্যবহার বিধি না মানা
বিটুমিন সড়কে ব্যবহারের কিছু বিধিমালা রয়েছে। উপাদানগুলো মেশানোর সময় তাপমাত্রা কত থাকবে, ট্রাকে তোলার সময় তাপমাত্রা কত হবে, ট্রাক থেকে নামানোর পর কত দ্রুত ঢালাইতে যেতে হবে এবং তখন তাপমাত্রা কত হবে এগুলোর কিন্তু নিয়ম আছে। যেমন বিটুমিনকে গরম করার আদর্শ তাপমাত্রা হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু আমাদের এখানে আদর্শ তাপমাত্রা তো দূরে থাক, তাপমাত্রা পরিমাপের ব্যবস্থাই থাকে না।

জলাবদ্ধতা দূর করা
আমাদের দেশে বিটুমিন দিয়ে নির্মিত সড়কগুলো আমরা দীর্ঘস্থায়ী করতে পারছি না। পানি আর জলাবদ্ধতায় রাস্তা নষ্ট হয়। কারণ পানি বিটুমিনের শত্রু। আমাদের সড়ক নির্মাণের পাশাপাশি জলাবদ্ধতা দূর করতে হবে। এর জন্য পানি সরে যাওয়া বা ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নত করতে হবে। সড়কের পাশে ভূমি উন্নয়ন করতে হবে। সড়ক শুষ্ক থাকলে আর কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু কড়া নজরদারি না থাকলে ঠিকাদার আপস করবেই।

কড়া নজরদারি
বিটুমিন আমদানি থেকে শুরু করে সড়কের ব্যবহারের প্রতিটি ধাপে কড়া নজরদারি প্রয়োজন। কী বিটুমিন আমদানি করা হচ্ছে সেগুলো পরীক্ষা করতে হবে। সেগুলো পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হলে বাদ দিতে হবে। যেগুলো পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে দেশে ঢুকবে সেগুলো কোথায় যাচ্ছে আর সেখানে যাওয়ার পর কী হচ্ছে সেগুলোতে নজরদারি লাগবে। ঠিকাদারদের কাজের ওপর নজরদারি করতে হবে। এর জন্য প্রয়োজনে দক্ষ ব্যবস্থাপক নিয়োগ দিতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮১২ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২১
এসএইচএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।