ঢাকা, বুধবার, ২৭ কার্তিক ১৪৩১, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাংলাদেশ থেকে আম নিতে চায় রাশিয়া: কৃষিমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০২১
বাংলাদেশ থেকে আম নিতে চায় রাশিয়া: কৃষিমন্ত্রী কথা বলছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: বাংলাদেশ থেকে আম আমদানি করতে আগ্রহী রাশিয়া বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক।  

তিনি বলেন, রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আমাদের একটা সাজেশন দিয়েছেন, তিনি মনে করেন রাশিয়ায় আম রপ্তানির একটা বিরাট সুযোগ আছে।


 
বুধবার (১৮ আগস্ট) সকালে সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ আগ্রহের কথা জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ভি মান্টিটস্কি।

বৈঠক শেষে কৃষিমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, এ মুহূর্তে রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের অনেক দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য রয়েছে। এর পরিমাণ ২ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। কৃষি ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের জন্য রাশিয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, রাশিয়ায় আমের বড় বাজার রয়েছে। বাংলাদেশ এদিকে গুরুত্ব দিতে পারে, এ নিয়ে কাজ করা উচিত।

এদিকে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, রাশিয়ায় আম খুব জনপ্রিয়। রাশিয়ায় আম রপ্তানির জন্য আমি কৃষিমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। কারণ বাংলাদেশের আম অনেক জনপ্রিয় ও সুস্বাদু।

রাশিয়া থেকে সার আমদানি করা হয় জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, একটি নতুন সার ডিএপিপি, এটা বাংলাদেশে ব্যবহার অনেক বেড়েছে। এটা আনার জন্য আলাপ করেছি। রাশিয়ার সঙ্গে একটা সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে, সরকার টু সরকার। আমরা ভালো দামে রাশিয়া থেকে ডিএপিপি আনতে পারি কিনা। আগে আমরা ৭ লাখ টন ডিএপিপি ব্যবহার করতাম সেটার চাহিদা এখন বেড়ে ১৪ লাখ টন হয়েছে। কাজেই এখানে আমাদের রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে আমরা তেমন গম উৎপাদন করিনা। আমাদের আবহাওয়া গম উৎপাদনের জন্য ভালো না। কিন্তু এখন আমাদের বর্তমান প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা গমের অনেক খাবার খায়। এজন্য আমরা রাশিয়া থেকে গম আমদানি করি।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আগে রাশিয়াতে আমরা আলু রপ্তানি করতাম। একটা ব্যাকটেরিয়ার কারণে রাশিয়া সেখানে রেস্ট্রিকশন দিয়েছে। আমরা ওনাকে অনুরোধ করেছি, আমরা যাতে রাশিয়ায় আলু রপ্তানি করতে পারি।  

তিনি বলছেন, আমরা গুরুত্ব দিয়ে এটা দেখব।

তিনি বলেন, রুপপুর প্রকল্প তারা করছে। তারা মনে করে এ প্রকল্প বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিরাট প্রভাবে পড়বে। আন্তর্জাতিক পর্যায়েও বাংলাদেশের মর্যাদা অনেক বাড়বে। রোহিঙ্গা নিয়েও আমরা আলোচনা করেছি। তারা চায় এই সমস্যার সমাধান হোক। এ ব্যাপারেও তারা সহযোগিতা করবে।

চাল আমদানি করলে ধানের দাম কমে যাওয়ার শঙ্কা আছে, এতে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষিমন্ত্রী বলেন, না, না, কৃষক অনেক বেশি দাম পেয়েছে, দাম পাচ্ছে। এত দাম না পেলেও তারা খুশি থাকত। চালের দাম বরং বেশি আছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮,২০২১
জিসিজি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।