ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বিশ্বব্যাংকের ঋণে হবে ৪৯ মৎস্য অভয়াশ্রম

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০২১
বিশ্বব্যাংকের ঋণে হবে ৪৯ মৎস্য অভয়াশ্রম

ঢাকা: বিশ্বব্যাংকের অঙ্গভুক্ত প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (আইডিএ) তহবিলের মাধ্যমে বাস্তবায়িত প্রকল্পের আওতায় দেশে আরও ৪৯ মৎস্য অভয়াশ্রম ও ২৯টি শুঁটকি প্রদর্শনী স্থাপন করা হবে। এই প্রকল্পে ৮৫ কোটি টাকা ঋণ দেবে সংস্থাটি।

মূলত ক্লাইমেট স্মার্ট মাছ চাষ প্রযুক্তি প্রবর্তনের মাধ্যমে এর উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর জন্যই এমন উদ্যোগ।

ব্যবসাবান্ধব সাপ্লাই চেইন এবং বাজার নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের বাজারে প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি এবং স্টেকহোল্ডারদের জীবিকায়নের মানোন্নয়নসহ টেকসই মৎস্য সম্পদ ব্যবস্থাপনায় সক্ষমতা বাড়বে।

‘ ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার অ্যান্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট প্রজক্টের আওতায় এমন উদ্যোগ নেওয়া হবে। প্রকল্পটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উপস্থাপন করা হবে।

প্রকল্পটি দেশের ২৯টি উপজেলায় বাস্তবায়িত হবে। বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তন অন্যতম সমস্যা। অনেক সময় পুকুরে অল্প পানি থাকে এবং বেশি তাপমাত্রা থাকে। ফলে মাছ মরে যায়। এমন পরিস্থিতিতে কী ধরনের মাছ চাষ করা যায়। এছাড়া তিন মাসেই খাওয়ার উপযোগী কী ধরনের মাছ চাষ করা যায় এমন উদ্যোগ নেওয়া হবে।

মৎস্য অধিদপ্তরের পরিচালক (অভ্যন্তরীণ মৎস্য) মোহা. আতিয়ার রহমান বাংলানিউজকে বলেন, প্রকল্পটি একনেক সভায় উপস্থাপন করা হবে। আমরা জানি, বর্তমানে পৃথিবীতে অন্যতম ইস্যু ক্লাইমেট চেঞ্জ। দেশের ক্লাইমেটের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কী ধরনের মাছ চাষ করা যায় সেই সব উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হবে। অল্প পানিতে বেশি মাছ ও স্বল্প সময়ে অধিক উৎপাদনশীল মাছের চাষ করা হবে।

প্রকল্পটি জুলাই ২০২১ থেকে জুন ২০২৬ মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১০৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে বিশ্বব্যাংক ঋণ ৮৫ কোটি টাকা এবং সরকারি অর্থায়ন ২১ কোটি ২৫ লাখ টাকা।

প্রকল্পের আওতায় ১৪৫টি বিল নার্সারি স্থাপন, ১৯৪টি পুকুর/জলাশয় পুনঃখনন, ১৪৫টি মৎস্যবান্ধব ফিশিং নেট সরবরাহ, ১ হাজার ৯৫০টি বিভিন্ন ধরনের মৎস্য চাষ প্রযুক্তির প্রদর্শনী খামার স্থাপন করা হবে। সাপ্লাই চেইন উন্নয়নের জন্য বরফ সুবিধাসহ ৫৮টি ইনসুলেটেড ভ্যান সরবরাহ, মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্যের ভ্যালু চেইন উন্নয়নের জন্য ১৪টি মিনি প্রসেসিং ইউনিট নির্মাণ ও ফিশ প্রসেসিং যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হবে। এছাড়া ৬শ জন দরিদ্র মৎস্য চাষিকে বিকল্প কর্মসংস্থান কার্যক্রমে সহায়তা দেওয়া হবে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবিলায় বিদ্যমান জনশক্তির দক্ষতা উন্নয়ন, বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি, সাপ্লাই চেইন উন্নয়ন ও ভ্যালু অ্যাডেড প্রডাক্ট তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।  এর সঙ্গে প্রকল্পটি সংগতিপূর্ণ।  

প্রকল্পটি ক্লাইমেট স্মার্ট চাষ প্রযুক্তি প্রবর্তনের মাধ্যমে মাছের উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বাড়িয়ে মৎস্য ক্ষেত্রে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। ব্যবসাবান্ধব সাপ্লাই চেইন এবং বাজার নেটওয়ার্ক প্রসারের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের বাজারে প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি এবং স্টেকহোল্ডারদের জীবিকায়নের মানোন্নয়নসহ টেকসই মৎস্যসম্পদ ব্যবস্থাপনায় সক্ষমতা বাড়বে বলে জানায় মৎস্য অধিদপ্তর।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০২১
এমআইএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।