পাবনা: আজকাল অনলাইন বিজনেস বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। স্বল্প পুঁজিতেই ব্যবসা আরম্ভ করা যায় বলে অনেক তরুণ উদ্যোক্তা অনলাইন ব্যবসায় আগ্রহী হচ্ছেন।
পাবনা জেলার রামচন্দ্রপুরে বাড়ি মনোয়ার। বর্তমানে তিনি পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়াশোনা করছেন। টেক্সটাইল বিভাগে সপ্তম সেমিস্টারের ছাত্র। করোনায় সবকিছু যখন স্তব্ধ তখন কিছু করার তাড়না থেকেই ২০২০ সালের শুরুতে বাবার কাছ থেকে ২ লাখ টাকা নিয়ে ৫ জন কারিগরকে সঙ্গে নিয়ে টি-শার্টের কারখানা চালু করেন। অনলাইনে টি-শার্টের ই-কমার্স ওয়েবসাইট ‘তল্প’ চালু করেন। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি এ তরুণ উদ্যোক্তাকে।
মনোয়ার হোসেনের বাবা মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, করোনার বন্ধের মধ্যে হঠাৎ ছেলে একদিন ব্যবসা করার টাকা চাইলো। প্রথমে আমি রাজি হইনি। ভেবেছি অনলাইনে কি না কি ব্যবসা করবে। নানা রকমের চিন্তার মধ্যেই তার হাতে লাখ দুয়েক টাকা তুলে দেই। আল্লাহর রহমতে মাত্র এক বছরেই টি-শার্ট বিক্রি করে সফল হয়েছে। মাত্র ৬ মাসেই ১০ লাখ টাকার গেঞ্জি বিক্রি করেছে। ছেলের এমন সফলতায় আমরা সবাই খুশি।
মনোয়ার হোসেন গ্রাফিক্স ডিজাইনে অনেক দক্ষ। তার এই দক্ষতাকে তিনি গেঞ্জির ডিজাইনে কাজে লাগিয়েছেন। তিনি মূলত কাস্টমাইজ করা টি-শার্ট তৈরি করেন। দেশের বিভিন্ন ইভেন্টে বা অনুষ্ঠানে টি-শার্ট সাপ্লাই দেন মনোয়ার। তার ই-কমার্স ওয়েবসাইটে তল্প-এর মাধ্যমেই তার অর্ডার আসে।
নিজের সাফল্যের বিষয়ে মনোয়ার হোসেন বলেন, দিন দিন পোশাক-পরিচ্ছেদের ফ্যাশন ট্রেন্ড পরিবর্তন ঘটেছে। আজকালের ছেলে-মেয়েরা অনেক ধরনের পোশাকেই পরিধান করেন, তবে আরামদায়ক ও স্টাইলিশ পোশাক হিসেবে টি-শার্টের জনপ্রিয়তা সবসময়ই ঈর্শ্বনীয়। ছেলেদের পাশাপাশি আজকাল মেয়েরাও টি-শার্ট পরিধান করেন। আজ থেকে ২০ বছর আগেও যেমন টি-শার্ট পরিধান করত তেমনি আগামী ৫০ বছর পরেও সবার টি-শার্টের চাহিদা সমান থাকবে। ফলে ব্যবসার জন্য টি-শার্টকেই বেছে নিয়েছি। আল্লাহর রহমতে ভালো ফল পাচ্ছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০২১
এনটি