ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

২ লাখ গ্রাহকের সঙ্গে ইভ্যালির ৩১১ কোটি টাকার প্রতারণা!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১৯ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০২১
২ লাখ গ্রাহকের সঙ্গে ইভ্যালির ৩১১ কোটি টাকার প্রতারণা!

ঢাকা: প্রায় ২ লাখ ৭ হাজার ৭৪১ জন গ্রাহকের কাছে ৩১১ কোটি টাকার দেনা আছে অনলাইন মার্কেটপ্লেস ইভ্যালির। আর এই দেনাকে একরকম ‘প্রতারণা’ বলছেন গ্রাহকেরা।

তবে ছয় মাসে এই দেনা শোধ করা হবে জানায় ইভ্যালি।

সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে গ্রাহকদের কাছে দেনার এক হিসেব জমা দেয় ইভ্যালি। নিজেদের হিসেবেই ইভ্যালি জানায়, ২ লাখ ৭ হাজার ৭৪১ জন গ্রাহকের অর্ডার করা পণ্য তাদের এখনও ডেলিভারি করা হয়নি। গ্রাহকদের পরিশোধিত মূল্য প্রায় ৩১০ কোটি টাকা। তবে অর্ডার করা পণ্য ব্যবসা দিয়ে মুনাফা অর্জন করে সর্বোচ্চ ৬ মাসের মধ্যে পরিশোধ করা সম্ভব বলে দাবি করেন ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ রাসেল।

জানা যায়, চলতি বছরের ১৫ জুলাই পর্যন্ত এই দেনা হয় প্রতিষ্ঠানটির। এছাড়াও বিভিন্ন সেলার ও মার্চেন্টদের হিসেব মিলিয়ে প্রতিষ্ঠানটির মোট দেনা ৫৪৪ কোটি টাকা। নিজেদের পেইড আপ ক্যাপিটাল ১ কোটি টাকা বাদ দিলে সর্বশেষ দেনা প্রায় ৫৪৩ কোটি টাকা।

গ্রাহকদের কাছে থাকা দেনার বিষয়টিকে নিজেদের সঙ্গে প্রতারণা বলে উল্লেখ করেছেন বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী গ্রাহক। নূরে সিদ্দিকী নামে একজন গ্রাহক বলেন, আমার একটা বাইক অর্ডার করা আছে। সেই বাইক ৬ মাসের ওপরে পাই নাই। তাহলে এটা তো আমার সঙ্গে প্রতারণা। আমার মতো গ্রাহকদের টাকা দিয়েই তো তারা বিজনেস করেছে। কিন্তু আমাদেরকে পণ্য দেয়নি। তাহলে এটা প্রতারণা না?

এদিকে ইভ্যালির বিরুদ্ধে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে প্রায় ৭ হাজারের বেশি অভিযোগ জমা পড়ে বলে সেখানকার একটি সূত্র নিশ্চিত করেন। তবে এর মধ্যে ৫ হাজারের বেশি অভিযোগ নিষ্পত্তি হয় এবং বাকি অভিযোগ নিয়েও কাজ চলছে বলে জানা যায়।

অন্যদিকে, গ্রাহকদের কাছে হওয়া এই দেনা ব্যবসা করে ৬ মাসের মধ্যে পরিশোধ করা হবে বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে নিজেদের চিঠিতে জানিয়েছে ইভ্যালি। ৭০ লাখ অর্ডার ইতোমধ্যে সফলভাবে গ্রাহকদের কাছে ডেলিভারি হয়েছে বলেও দাবি প্রতিষ্ঠানটির। সেই চিঠিতে বলা হয়, এ পর্যন্ত ৭০ লাখের বেশি ক্রয়াদেশের পণ্য সফলতার সঙ্গে সরবরাহ হয়েছে এবং ভোক্তাদের সঙ্গে আস্থার সম্পর্ক বজায় আছে। কিছু সংখ্যক গ্রাহক পণ্য পাননি, তা অনাকাঙ্ক্ষিত। তবে পর্যাপ্ত সময় ও অনুকূল পরিবেশ পেলে ৬ মাসের মধ্যে ওই সব ক্রয়াদেশসহ সব ক্রয়াদেশের বিপরীতে পণ্য সরবরাহ করতে সক্ষম হব। এ পরিবেশ তৈরিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অগ্রণী ভূমিকার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।

এবিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীল কারও বক্তব্য পাওয়া না গেলেও সম্প্রতি এক লাইভে মোহাম্মদ রাসেল ৬ মাসের মধ্যে সব গ্রাহকদের অর্ডার ডেলিভারি করার প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বলেন, একজন গ্রাহকের একটি অর্ডার বা রিফান্ড বাকি থাকবে না। সর্বোচ্চ ৬ মাসের মধ্যে এগুলো ডেলিভারি করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০০১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০২১
এস এইচ এস/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।