ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাণিজ্য সম্প্রসারণের টেকসই ভিত্তি তৈরি করে গেছেন বঙ্গবন্ধু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২১
বাণিজ্য সম্প্রসারণের টেকসই ভিত্তি তৈরি করে গেছেন বঙ্গবন্ধু

ঢাকা: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সম্প্রসারণের টেকসই বৈশ্বিক ভিত্তি বঙ্গবন্ধু তৈরি করে দিয়ে গেছেন বলে জানিয়েছেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশী ইমিগ্র্যান্ট ডে’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 

জসিম উদ্দিন বলেন, জাতিসংঘে প্রথম বাংলা ভাষায় দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণে, অর্থনৈতিক মুক্তি ও সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে শান্তিপূর্ণ নতুন বিশ্ব গড়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। জাতির পিতা তার বিচক্ষণ ও দূরদর্শী চিন্তা-চেতনার মাধ্যমে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, কারিগরি ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্পর্ক গড়ে তুলতে উদ্যোগী হন। বঙ্গবন্ধুর সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে, জাতিসংঘ, আঙ্কটাড, কমনওয়েলথ, ওআইসি, আইডিবি ও জোট নিরপেক্ষ রাষ্ট্রের সদস্য পদ লাভ করে বাংলাদেশ। আর এর মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সম্প্রসারণের টেকসই আন্তর্জাতিক ভিত্তি দাঁড় করিয়ে দিয়ে গেছেন স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম বলেন, সুদুরপ্রসারী পরিকল্পনা ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু যখন জাতিকে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্তির স্বপ্ন পূরণের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখনই বিশ্বের ইতিহাসের নৃশংসতম চক্রান্তের মাধ্যমে হত্যা করা হয় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালিকে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নির্মূলের চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে, তার আদর্শ, নীতি ও প্রদর্শিত পথের মাধ্যমেই দেশকে অগ্রগতির পথে নিয়ে চলেছেন তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুকন্যার দূরদর্শী নেতৃত্বে, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হবার যোগ্যতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। ডিজিটাইজেশন, শিল্পায়ন এবং মানবসম্পদ ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন পূরণে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ সঠিকভাবে চিহ্নিত করে, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সরকার ও বেসরকারি খাত একসঙ্গে কাজ করছে। তিনি আশা করেন, অতীতের মতো, ভবিষ্যতেও সরকারি-বেসরকারি যৌথ প্রচেষ্টায় সব চ্যালেঞ্জ উতরে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।

বাংলাদেশী ইমগ্র্যান্ট ডে’র অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, সহ-সভাপতি সালাহউদ্দিন আলমগীর, এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন ও বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২১
এসই/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।