ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

চীনের সঙ্গে মুক্তবাণিজ্য চুক্তি চায় এফবিসিসিআই

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২১
চীনের সঙ্গে মুক্তবাণিজ্য চুক্তি চায় এফবিসিসিআই

ঢাকা: এলডিসি পরবর্তী সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় চীনের সঙ্গে মুক্তবাণিজ্য চুক্তি চান দেশের ব্যবসায়ী শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) চায়না-বাংলাদেশ ইকোনমিক অ্যান্ড ট্রেড কো-অপারেশন ফোরাম-২০২১ এবং চাইনিজ এন্টারপ্রাইজেস অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশের (সিইএবি) সপ্তম কাউন্সিলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

 

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বাংলাদেশের বৃহত্তম অংশীদার চীনের সঙ্গে মুক্তবাণিজ্য চুক্তি হলে দেশটির সঙ্গে যে বিপুল বাণিজ্য ঘাটতি আছে, তা কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।

ভার্চ্যুয়াল প্ল্যাটফর্মে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে চীন থেকে বাংলাদেশের আমদানির পরিমাণ ছিল ১১ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন ডলার, বিপরীতে দেশটিতে রপ্তানি হয়েছে মাত্র দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। এই বিপুল পরিমাণ বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে ঢাকা-বেইজিং মুক্তবাণিজ্য চুক্তি প্রয়োজন।

২০২০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ১ দশমিক ০২ বিলিয়ন ডলারের চীনা বিনিয়োগের তথ্য জানিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, এফটিএ হলে বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে চীনা উদ্যোক্তাদের আস্থা আরও বাড়বে।

বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নত করতে সরকারের দেওয়া কর অবকাশ সুবিধা, ৫ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত হ্রাসকৃত হারে আয়কর, করমুক্ত রপ্তানি আয়, ক্যাপিটাল মেশিনারিজ ও কাঁচামাল আমদানিতে হ্রাসকৃত আমদানি শুল্কের কথা তুলে ধরেন এফবিসিসিআই সভাপতি।  

১০০টি বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম চলমান আছে জানিয়ে তিনি বলেন, এই অঞ্চলে বৈশ্বিক উদ্যোক্তাদের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিনিয়োগ গন্তব্যে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সম্প্রসারণের সুযোগ খুঁজে বের করতে গবেষণা প্রকল্প হাতে নেওয়ার আহ্বান জানান মো. জসিম উদ্দিন। শিল্প ক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধি, প্রযুক্তি আদান প্রদান, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, পরিবহন, চামড়া, প্লাস্টিক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, কৃষি এবং বায়ো-টেকনোলজি খাতে চীনা উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি।  

চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্পের প্রশংসা করে মো. জসিম উদ্দিন বলেন, এই উদ্যোগ ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত রাষ্ট্র হতে বাংলাদেশের সামনে অবারিত সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।  

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. নজরুল ইসলাম ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. শেখ ইউসুফ হারুন, ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান, বাংলাদেশ-চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি গাজী গোলাম মর্তুজা, সিইএবি’র সভাপতি কে চ্যাংলিয়াং, সংগঠনটির অনারারি লাইফ প্রেসিডেন্ট লিন ওয়েইকিয়াংসহ অন্যান্য প্রতিনিধিরা।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২১
এসই/জেএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।