ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

রাজধানীর ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা নিয়ে সরকারি তথ্য সঠিক নয়: কনকর্ড চেয়ারম্যান

গাজী জহিরুল ইসলাম, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১০
রাজধানীর ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা নিয়ে সরকারি তথ্য সঠিক নয়: কনকর্ড চেয়ারম্যান

ঢাকা: রাজধানীতে পাঁচ হাজার ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা ও ভবন রয়েছে- সরকারের এই তথ্য সঠিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন দেশের শীর্ষ স্থানীয় ডেভেলপার কোম্পানি কনকর্ড গ্রুপের চেয়ারম্যান এস এম কামালউদ্দিন ।

রোববার বাংলানিউজকে তিনি বলেন, রাজউক প্রণীত বিল্ডিংকোড এ সুনামি বা ভুমিকম্পসহ বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবেলায় ভবন নির্মাণের করণীয় সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা নেই।



কামালউদ্দিন বলেন, ভবিষ্যতে ভয়াবহ দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকারের উচিত অভিজ্ঞ, দক্ষ প্রকৌশলীদের সমন্বয়ে একটি আলাদা মনিটরিং ব্যবস্থা গড়ে তোলা।

তবে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি পর্যায়েই এ বিষয়ে উদ্যোগ থাকার প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এ লক্ষ্যেই কনকর্ডের পক্ষ থেকে  রোববার এশিয়ান ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি (এআইটি)’র একটি প্রতিষ্ঠান এআইটি কনসাল্টিং ইন্সটিটউটের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী ও শক্তিশালী স্থাপনা নির্মাণে অভিজ্ঞতা বিনিময়ে একটি সমঝোতা স্বাক্ষর করা হয়েছে বলে জানান কনকর্ড চেয়ারম্যান।  

তিনি বলেন, ‘সরকার কিভাবে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করেছে তা উল্লেখ করেনি। এছাড়াও সরকারের এধরনের অভিজ্ঞ কোনো টিম নেই যারা ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করবে। ’

এআইটির সঙ্গে সমঝোতা চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশে এক নতুন দিগন্ত সুচনা হবে বলে উপস্থিত অভিজ্ঞ ও দক্ষ প্রকৌশলীরা দাবি করেন।

আন্তর্জাতিক খ্যাতনামা এআইটি’র সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তির মাধমে কনকর্ড-এআইটি ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটের ১০ হাজার ভবনের উপর জরিপ চালাবে বলেও জানান তিনি। জরিপে ভবনগুলো সুনামি, ভূমিকম্পসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করার মতো শক্তিশালি কিনা তা নির্ধারণ করা হবে। জরিপের পর কোন ভবনের কি ধরনের ক্রটি রয়েছে তাও চিহ্নিত করা হবে।

কামালউদ্দিন আরও বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অধিক পুরানো ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর স্থায়ীত্ব বাড়াতে রেট্রফিট করা হয়।

এআইটি’র অত্যাধুনিক এই রেট্রফিট পদ্ধতির মাধ্যমে ইংল্যান্ড, থাইল্যান্ডসহ বেশ কয়েকটি দেশে ২০ থেকে ৫০ তলা ভবন সংস্কার করেছে।

তিনি জানান, এআইটি বাংলাদেশে ওই প্রযুক্তি ব্যবহার করতে আগ্রহী। আগমী তিন বছরের মধ্যে দশ হাজার ভবন জরিপের কাজ শেষ করা হবে। সাত বছর ধরে এআইটি বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং স্টাফ কলেজের সঙ্গে কাজ করছে।

কনকর্ড গ্রুপের  ব্যবস্থাপনা পরিচালক(এমডি) প্রকৌশলী এসকে লালা বাংলানউজকে বলেন, ব্যাংককের এ.আই.টি প্রতিষ্ঠান  ভূমিকম্পন প্রতিরোধক ভবন নির্মাণের দক্ষ ও অভিজ্ঞতা রয়েছে এ অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে কনকর্ড গ্রুপ বাংলাদেশে স্থাপনা নির্মাণে নতুন মাত্রা যোগ করবে।

বাংলাদেশে ১৯৭৩ সালে কনকর্ড এর যাত্রা শুরু। ২৬ বছর আগে কনকর্ড প্রথম কনক্রিট মিক্স করে ২০ থেকে ২৬ তলা বিশিষ্ট  শিল্প ব্যাংক ভবন, জীবন বীমা টাওয়ার, জনতা ব্যাংক ভবন নির্মাণ করে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad