ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘আগামীতে বড় পরিসরে বাণিজ্যমেলা হবে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২২
‘আগামীতে বড় পরিসরে বাণিজ্যমেলা হবে’ কথা বলছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। ছবি: জিএম মুজিবুর

নারায়ণগঞ্জ: আগামীতে আরও বড় পরিসরে বাণিজ্যমেলার আয়োজন করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

তিনি বলেন ‘আমরা চাই বিদেশিরাও এখানে আসুক।

সেটা যদিও এখন খুব বেশি নয়, আমরা তাদের অংশগ্রহণ আরও বাড়াতে চাই। আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞ। আমাদের অনেক চাপ গেছে। শেষে দিকে ভাবছিলাম করোনা ভাইরাসের কারণে বন্ধ করে দিতে হয় কিনা। আমাদের ব্যবসায়ীরা বেশ রিস্ক নিয়ে এখানে এসেছেন। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা নেই। তারা সম্পূর্ণ অনিশ্চয়তা নিয়েই এখানে এসেছেন। মোটামুটি সেটিসফেকশন রেজাল্ট তারা পেয়েছেন এবং এই স্থায়ী কমপ্লেক্স যেহেতু আমরা পেয়েছি। আমরা আশা করি আগামীতে আরও সুন্দর ও বড় করে মেলার আমরা করবো। রাস্তাটাও হয়তো এরই মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে। সেনা কর্মকর্তারা বলেছিলেন তারা রাস্তাটা চলাচলের উপযোগী করে দেবেন, তারা করে দিয়েছেন। বিআরটিসি তাদের বাস দিয়েছেন। সার্বিকভাবে আমরা সবারই সাহায্য পেয়েছি'।

সোমবার (৩১ জানুয়ারি) বাণিজ্যমেলার শেষ দিনে মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

টিপু মুনশি বলেন, ‘এটা আমাদের ২৬তম আসর এবং এই নতুন জায়গায় প্রথম। রাস্তা-ঘাটসহ সবকিছু বিবেচনায় আমি একটু শঙ্কিত ছিলাম। যিনি আমাকে সাহস দিয়েছেন তিনি হলেন প্রধানমন্ত্রী। ভার্চ্যুয়ালি তিনি আমাদের এই অনুষ্ঠানটা উদ্বোধন করেছেন। আরেকজন আমাদের পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গাজী ভাই যিনি এই এলাকা থেকেই নির্বাচিত সংসদ সদস্য, তিনিও আমাকে সাহস জুগিয়েছেন। সবচেয়ে আনন্দের ব্যাপার আমাদের সব দুশ্চিন্তা দূর করে আমাদের আশার তুলনায় তার তিনগুণ মানুষ এখানে এসেছে। আমি শুনেছি প্রতিদিন প্রায় লক্ষাধিক মানুষ এই মেলায় এসেছে। এটা আমাদের নতুন করে শুরু। আমাদের একটা পার্মানেন্ট স্থাপনা হলো’।

তিনি বলেন, ‘আমাদের স্বপ্ন আছে সারাবছর ধরে বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন, অ্যাসোসিয়েশন এখানে মেলা করতে পারবে এবং আন্তর্জাতিকভাবে উপস্থাপন করতে পারবেন। বাণিজ্য প্রসারে আমাদের চিন্তা রয়েছে। আমরা ৫১ বিলিয়ন ডলারের একটা টার্গেট ঠিক করেছি এক্সপোর্টের। আমি আশা করি, করোনার মধ্যেও এই টার্গেটটা অ্যাচিভ করতে পারবো। পাশাপাশি ৮০ বিলিয়ন ডলারের একটা টার্গেট নিয়ে ২০২৪ সালের জন্য আমরা এগোচ্ছি। সেই টার্গেট আমরা অর্জন করতে চাই। আমাদের সব দিক থেকে এগিয়ে আসতে হবে’।  

‘আমাদের সচিব যিনি আছেন তিনি সব বিষয় বেশ গভীরে ঢুকেই চিন্তা করেন। আমাদের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাও বেশ আনন্দিত। আমি খুব খুশি যে, তারা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে একটি এফিশিয়েন্ট প্রতিষ্ঠান করার জন্য আমি তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম রয়েছে এই টার্গেটে পৌঁছানোর পেছনে’।

তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা জানেন ২০২৬ সালে আমরা উন্নয়নশীল দেশে যাবো। প্রধানমন্ত্রী ঠিক করেছেন ২০৪১ সালে আমরা উন্নত দেশের অবস্থানে যাবো যখন মাথাপিছু আয় ১২ হাজার ডলার ঠিক করা হয়েছে। সেলক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। আমরা আশা করি, এখন যেটা আড়াই হাজার ডলার আছে আগামীতে সেটা তিন হাজার ডলারে পৌঁছে যাবে। সবদিক বিবেচনায় আমরা খুব পজিটিভ দিকে এগোচ্ছি। আমরা ফ্রি ট্রেড নিয়েও কাজ করছি’।

তিনি বলেন, ‘আমরা নানা প্রডাক্ট নিয়ে চিন্তা করছি। প্রধানমন্ত্রী আইটি সেক্টরকে এ বছরের বর্ষ পণ্য হিসেবে ডিক্লেয়ার করেছেন। আমাদের গার্মেন্টস ট্রেডের পাশাপাশি বেশ কিছু আইটেম এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা আশা করি, আইটি সেক্টরও আরও গ্রো করবে। আমাদের ৮০ শতাংশ রেডিমেড গার্মেন্টস আছে। আমাদের ব্যবসায়িক সুবিধার কারণে বিভিন্ন বায়াররা আমাদের দেশে অর্ডার আসছে। আমরা যদি এটা বাড়াতে পারি তাহলে টার্গেট পূরণ করতে আমাদের সমস্যা হবে না। পাশাপাশি লেদার, জুটসহ বেশ কয়েকটা আইটেম আমরা বিলিয়ন ডলার করে এক্সপোর্ট করছি। এটা কন্টিনিউ করতে পারলেই আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছে যাবো। সে কারণেই এ ধরনের মেলা করে দেখানো হয় এবং বাইরের মানুষ এখানে আসতে পারে’।

আরও পড়ুন>> সীমাবদ্ধতার মধ্যেও এবারের বাণিজ্যমেলা সফল: বাণিজ্যমন্ত্রী

বাংলাদেশ সময়: ২০০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২২
এমআরপি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।