ঢাকা: বাজারে দাম বেড়েছে চাল ও মুরগির। কমেছে সবজির দাম।
শনিবার (২৬ মার্চ ) সকালে রাজধানীর মিরপুরের ১১ নম্বর বাজার, মিরপুর কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকা ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।
বাজারে দাম কমেছে সবজির। প্রতি কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।
এসব বাজারে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, শিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, বেগুন (গোল) ৫০ টাকা, বেগুন (লম্বা) ৫০ টাকা, ফুলকপি প্রতি পিস ৫০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৪০ টাকা, চাল কুমড়া পিস ৪০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, শালগম ৪০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, পেঁপের কেজি ৪০ টাকা, বরবটির কেজি ৮০ টাকা ও শসার কেজি ৬০ টাকা, সজনে ডাটা কেজি ১৪০ টাকা, ধুন্দুলের কেজি ৬০ টাকা ও মটরশুঁটির কেজি ১২০ টাকা।
এসব বাজারে আগের দামে বিক্রি হচ্ছে আলু। আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা। কমেছে পেঁয়াজের দাম। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি। ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি।
বাজারে চায়না রসুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি। দেশি আদার কেজি ৬০ টাকা। চায়না আদার দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা।
১১ নম্বর বাজারের সবজি বিক্রেতা আল-আমিন বাংলানিউজকে বলেন, কমেছে সবজির দাম। বাজারে সবজির সরবরাহ থাকায় দাম কমেছে। সরবরাহ কমে গেলে আবার বাড়তে পারে সবজির দাম।
এসব বাজারে কাঁচামরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা।
বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে দেশি মুসুরের ডাল। কেজি ১৩০ টাকা। গত সপ্তাহে ডাল প্রতি কেজি বিক্রি হয় ১২০ টাকা। ইন্ডিয়ান ডালের কেজি ১০০ টাকা। বেড়েছে খোলা আটার দাম। কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৮ টাকা। গত সপ্তাহে আটার কেজি ছিল ৩৪ টাকা।
এসব বাজারে ভোজ্যতেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে বিক্রি হচ্ছে ১৬৮ টাকা। বাজারে কমেছে চিনির দাম। প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। এছাড়াও বাজারে বেড়েছে ছোলার দাম। ছোলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা।
বাজারে দাম কমেছে ডিমের। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। গত সপ্তাহে দেশি মুরগির ডজন বিক্রি হয়েছিল ২১০ টাকা। সোনালী (কক) মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়।
ডিম বিক্রেতা আশিক বলেন, বাজারের বেচাকেনা কম থাকায় কমেছে ডিমের দাম। ভালো রয়েছে ডিমের আমদানি।
বাজারে বেড়েছে মুরগির দাম। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা। গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ২৮০ টাকা কেজি। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা।
১১ নম্বর বাজারের মুরগি বিক্রেতা রুবেল বলেন, সরকারি ছুটির দিন থাকায় দাম বেড়েছে মুরগির। এছাড়া বাজারে মুরগির সরবরাহ তুলনামূলক কম।
বাজারে বেড়েছে চালের দাম। কেজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত। মিনিকেট চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা। মিনিকেট চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা। এক সপ্তাহ আগেও বিক্রি হতো ৬৬ থেকে ৬৭ টাকা। বেড়েছে বাসমতি চালের দাম। কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা। এক সপ্তাহ আগেও বিক্রি হতো ৭৭ থেকে ৭৮ টাকা। এসব বাজারে বেড়েছে পোলাও চালের দাম। খোলা পোলাও চাল বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা। এক সপ্তাহ আগেও বিক্রি হতো ৯০ টাকা কেজি। প্যাকেট পোলার চাল বেড়েছে দাম। বাজারে কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা। আগে বিক্রি হয়েছিল ১১০ থেকে ১২০ টাকায়।
১১ বাজারের চাল বিক্রেতা কামাল সরকার বাংলানিউজকে বলেন, ধান সংকটের কথা বলেই পাইকাররা চালের দাম বাড়িয়েছেন। মূলত সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে চালের দাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০১ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০২২
এমএমআই/কেএআর