ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

সর্বশেষ আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী মার্জিন ঋণ নির্ধারণের নির্দেশনা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১০
সর্বশেষ আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী মার্জিন ঋণ নির্ধারণের নির্দেশনা

ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির সর্বশেষ প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী মার্জিন ঋণের পরিমান নির্ধারণ করতে হবে।

মঙ্গলবার সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) জারি করা এক নির্দেশনায় এ কথা জানানো হয়।



নির্দেশনায় বলা হয়, প্রতি সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের সর্বশেষ বাজার দরের ভিত্তিতে ওই শেয়ারের বিপরীতে প্রাপ্য মার্জিন ঋণের হিসাব নির্ধারণ করবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়, তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর সর্বশেষ প্রকাশিত আর্থিক বিবরণীতে উল্লেখিত এনএভি বিবেচনায় নিয়ে শেয়ারের মার্জিন ঋণের পরিমান নির্ধারণ করা হবে। এক্ষেত্রে কোনো কোম্পানির সম্পদ পুনর্মূল্যায়ণ করা হলেও বর্ধিত সম্পদ মূল্য বাদ দিয়ে এনএভি হিসাব করতে হবে। মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ক্ষেত্রে বাজার মূল্যের ভিত্তিতে সর্বশেষ প্রকাশিত এনএভি বিবেচনায় নিয়ে মার্জিন ঋণের পরিমান নির্ধারণ করতে হবে।

নির্দেশনায় কোনো শেয়ারের ঋণ প্রাপ্তির যোগ্যতা নির্ধারণে পিই অনুপাত হিসাবের ক্ষেত্রে ডাইল্যুটেড ইপিএস বিবেচনায় নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে কেবল কোম্পানির মৌলিক কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আয়কেই হিসেবে নিতে হবে। কোনো কোম্পানির ডাইল্যুটেড ইপিএস না পাওয়া গেলে মৌলিক ইপিএসের ভিত্তিতে ঋণ প্রাপ্তির যোগ্যতা নির্ধারণ করা যাবে।

উল্লেখ্য, এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর  এসইসি’র জারি করা এক নির্দেশনায় বলা হয়, এনএভি ও বাজার মূল্যের যোগফলের অর্ধেকের ভিত্তিতে কোনো কোম্পানির শেয়ারের বিপরীতে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসগুলো কি পরিমান ঋণ দিতে পারবেÑ ডিএসই প্রতি সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে তা নির্ধারণ করবে। ডিএসই’র দেওয়া এই হিসেবের ভিত্তিতে মার্চেন্ট ব্যাংকার এবং দুই স্টক এক্সচেঞ্জের আওতাধীন ব্রোকারেজ হাউসগুলো গ্রাহকদের ঋণ প্রদান করবে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়, ডিএসই নির্ধারিত মার্জিন হিসেব করে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউস প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিধিমালা অনুযায়ী গ্রাহককে অতিরিক্ত অর্থ জমা দিতে বলবে (মার্জিন কল)। সংশ্লিষ্ট গ্রাহক ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অতিরিক্ত টাকা জমা দিতে ব্যর্থ হলে মার্জিন বিধিমালা অনুযায়ী ব্রোকারেজ হাউস বা মার্চেন্ট ব্যাংক তার শেয়ার বাধ্যতামূলক বিক্রি (ফোর্স সেল) করে ঋণ সমন্বয় করবে।

কিন্তু এনএভি নির্ধারণে জঠিলতার কারণ নির্ধারণের সময় গত ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ঋণ নির্ধারণের তালিকা প্রকাশ করেনি ডিএসই। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার এসইসি ৬ সেপ্টেম্বরের সিদ্ধান্ত বহাল রেখে মার্জিন ঋণের ক্ষেত্রে এনএভি নির্ধারণের আরও এক  নির্দেশনা জারি করে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।