ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি আইন সংসদের চলতি অধিবেশনে উঠছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১০

ঢাকা: ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ আইন) আইন ২০১০’ জাতীয় সংসদের চলতি অধিবেশনে বিল আকারে উত্থাপন করা হবে। আইন মন্ত্রণালয়ে যাচাই (ভেটিং) শেষে মঙ্গলবার আইনটি জ্বালানি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।

এরপর বিকেলেই চূড়ান্তকরণের জন্য তা সংসদে পাঠানো হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এনামুল হক বাংলানিউজকে বলেন, ‘মন্ত্রিপরিষদ থেকে আইনটির নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আমরা সংসদের চলতি অধিবেশনেই তা বিল আকারে উপস্থাপনের জন্য পাঠিয়েছি। ’

তিনি বলেন, ‘সরকার জরুরি ভিত্তিতে কোনো কাজ করতে গেলে পিপিআর (পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলস) অনুসরণ করে। কিন্তু এমন অনেক কাজ আছে যা পিপিআরের মাধ্যমে করা সময়সাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু বিষয়টি অত্যন্ত জরুরি। সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধির যে আইন অনুমোদন দিয়েছে তাতে জরুরি ভিত্তিতে কিছু করতে গেলে আর কোনো সমস্যা হবে না। ’

খসড়া আইনের ‘আইনের প্রাধান্য’ ধারায় বলা হয়, পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন, ২০০৬ বা বর্তমানে বলবৎ অন্য কোনো আইন, বিধান বা নীতিমালায় যা কিছুই থাকুক না কেন, ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ আইন) আইন ২০১০’ এর বিধানাবলী প্রাধান্য পাবে।

‘পরিকল্পনা গ্রহন ও প্রস্তাব’ ধারার ‘প্রস্তাব প্রক্রিয়াকরণ কমিটি ও তার কর্মপরিধির উপধারায় বলা হয়, সংশ্লিষ্ট খাতে বিশেষজ্ঞ নিয়ে প্রয়োজনীয সংখ্যক সদস্য সমন্বয়ে প্রক্রিয়াকরণ কমিটি গঠন করা হবে। ওই কমিটি যে কোনো পরিকল্পার প্রাথমিক পর্যায় থেকে প্রস্তাব প্রণয়ন ও ক্ষেত্র অনুযায়ী অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি বা সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে উপস্থাপনের পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা সংরক্ষণ করবে।

প্রক্রিয়াকরণ কমিটি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট যে কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ, আলোচনা ও দর কষাকষির মাধ্যমে সর্বোচ্চ জনস্বার্থ রক্ষার সুপারিশ সম্বলিত প্রস্তাব প্রণয়ন করবে।

এছাড়া প্রতিটি ক্রয় ও বিনিয়োগ প্রস্তাবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রীর সম্মতি গ্রহণ করে একক কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ, দর কষাকষি করে চূড়ান্তভাবে কাজের জন্য মনোনীত করতে পারবে।

খসড়ার ‘আদালত, ইত্যাদির এখতিয়ার রহিতকরণ’ ধারায় বলা হয়, এই আইনের অধীনে গৃহীত কোনো ব্যবস্থা, প্রদত্ত কোনো আদেশ বা নির্দেশের বৈধতা সম্পর্কে কোনো আদালতে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না।

‘জটিলতা নিরসন’ ধারায় বলা হয়, এই আইনের অধীনে কোনো সময় যদি কোনো জটিল সমস্যার সৃষ্টি হয় তাহলে তা নিরসনে সরকারি গেজেট প্রকাশ করা হবে। এতে সমস্যা সমাধানের দিক নির্দেশনা থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৪, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।