ঢাকা: দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদ। ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে আবারও বেড়েছে গরুর মাংসের দাম।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চাহিদা অনুযায়ী গরু কম থাকায় দাম বেড়েছে।
রোববার (০১ মে) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত রাজধানীর ৬০ ফিট বাজার, মিরপুর ২ নম্বর কাঁচাবাজার, মিরপুর ১১ নম্বর বাজার ও কালশী বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
মিরপুর ৬০ ফিট মধ্য পীরেরবাগ বিসমিল্লাহ গোস্ত বিতানের মালিক মো. আকরাম বলেন, এখন গরুর মাংসের কেজি বিক্রি করছি ৭০০ টাকায়। বেশি দামের গরু কিনতে হচ্ছে বলেই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। আর যদি কমে কিনতে পারতাম তাহলে কমে বিক্রি করতাম। বেশি দামে বিক্রি করতাম না।
মাংস ক্রেতা মাসুদ মিয়া বলেন, এবার বাজারে একটি জিনিস খেয়াল করে দেখলাম সবকিছুর দাম বেশি। কোনো একটি অজুহাত পেলেই দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন ব্যবসায়ী ও বিক্রেতারা। এবার মনে হচ্ছে, গত দু'বারের ঈদের ক্ষয়ক্ষতি ব্যবসায়ীরা এক ঈদে আদায় করে নিতে চাচ্ছেন। আমি ২৫ রমজানে এককেজি গরুর মাংস কিনেছি ৬৫০ টাকা দিয়ে। এর দুদিন পরেই শুনি গরুর মাংসের দাম বেড়েছে। এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা কেজি।
মিরপুর ২ নম্বর কাঁচা বাজারের মাংস বিক্রেতা আবুল খায়ের বাংলানিউজকে বলেন, এখন গরুর মাংসের কেজি বিক্রি ৭০০ টাকা। ২৭ রমজানের আগেই গরুর মাংসের কেজি বিক্রি করেছি ৬৫০ টাকা করে।
তিনি বলেন, আসলে চাহিদা অনুযায়ী যোগান কম। এ কারণেই গরুর মাংসের দাম বেশি। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া দাম বেশি হলেও দোকানগুলোতে মাংস পাওয়া যাচ্ছে। কাঁচামালের দামের নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারেন না। এ পণ্যের দাম হুট করে বেড়ে যায়।
মিরপুর ১১ নম্বর বাজারের ক্রেতা ইয়াহিয়া শামীম বলেন, এক সপ্তাহ আগে গরুর মাংস কিনলাম ৬৫০ টাকা করে কেজি। রোববার বাজারে এসে শুনছি আবারো গরুর মাংসের দাম বেড়ে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা।
তিনি বলেন, এভাবে যদি প্রতিনিয়ত জিনিস-পত্রের দাম বাড়তে থাকে তাহলে সাধারণ মানুষ কীভাবে জীবন ধারণ করবে? পণ্যের দাম বাড়ছে কিন্তু আমাদের আয়-রোজগার তো বাড়ছে না।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, মে ০১, ২০২২
এমএমআই/আরআইএস