ঢাকা: মিয়ানমারের কৃষিজমি ইজারা নেওয়ার সুযোগ বাংলাদেশ আর পাচ্ছে না। বাংলাদেশ-মিয়ানমার যৌথ বাণিজ্য কমিশনের চতুর্থ বৈঠকে একথা মিয়ানমারের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
রাজধানীর হোটেল শেরাটনের দু’দিনব্যাপী এ বৈঠক বুধবার শুরু হয়।
প্রথমদিনের বৈঠকের প্রথম সেশন শেষে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের নেতা বাণিজ্য সচিব গোলাম হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘প্রথম সেশনে গত তৃতীয় বৈঠকের আটটি সিদ্ধান্তের উপর আলোচনা হয়েছে। ’
তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের কৃষিজমি ইজারা নেওয়ার আর কোনো সুযোগ নেই বলে মিয়ানমার প্রতিনিধিদল আমাদের জানিয়েছে। এছাড়া দেশটিতে মিয়ানমার-বাংলাদেশ যৌথ মালিকানায় বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের সুযোগও আর নেই। চীন এরই মধ্যে ওই সুযোগ নিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করেছে।
তবে বৈঠকে অংশ নেওয়া ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অ্যান্ড কমার্স ইন্ডাস্ট্রি’র (এফবিসিসিআই) পরিচালক এস এম নূরুল হক বাংলানিউজকে বলেন, ‘মিয়ানমার আরাকান এলাকায় একটি জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কথা ভাবছে বলে জানিয়েছে প্রতিনিধিদল। ওই কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে চাইলে ৪০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ কিনতে পারবে।
অন্যান্য আলোচ্যবিষয় প্রসঙ্গে বাণিজ্য সচিব গোলাম হোসেন বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা আগে টেকনাফ থেকে সাত দিনের যে পাস নিয়ে মংদু পর্যন্ত যেতে পারতেন, সে পাস নিয়ে এখন রাজধানী ইয়াঙ্গুনসহ অন্যান্য শহরেও যেতে পারবেন। তবে এ জন্য মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতের পূর্বানুমোদন নিতে হবে। ’
পাসের মেয়াদও বাড়ানো হবে বলে তিনি জানান।
দু’দেশের মধ্যকার বাণিজ্য যোগাযোগ বাড়াতে ব্যাংকিং লেনদেন নিয়েও আলোচনা হয় বৈঠকে।
গোলাম হোসেন জানান, ‘এখন থেকে এলসির ক্ষেত্রে এক চালানে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি-রপ্তানির সুযোগ থাকবে। ’
আগে এ সুযোগ ২০ হাজার ডলারের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল।
বৈঠকে ২৩ সদস্যের বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাণিজ্য সচিব গোলাম হোসেন। মিয়ানমারের ২২ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে রয়েছেন সে দেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ওং তুন।
বাংলাদেশের অর্থ, বাণিজ্য, পররাষ্ট্র, যোগাযোগ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি ছাড়াও ব্যাবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরাও বৈঠকে অংশ নেন।
সরকারি কর্মকর্তার পাশাপাশি মিয়ানমারের প্রতিনিধিদলেও রয়েছেন ব্যাবসায়ী প্রতিনিধিরা।
মিয়ানমারের প্রতিনিধিদলটি বুধবার দুপুরে সচিবালয়ের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৫ ঘণ্টা, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১০