ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা ঠেকাতে কাজ করছে বাজুস

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২৯ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২২
ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা ঠেকাতে কাজ করছে বাজুস

গোপালগঞ্জ: বাজুসের সাবেক সভাপতি ও বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ডিস্ট্রিক্ট মনিটরিংয়ের চেয়ারম্যান ডা. দিলীপ কুমার রায় বলেছেন, ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা ঠেকাতে বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীরের নেতৃত্বে কাজ করে যাচ্ছে বাজুস।

রোববার (১৯ জুন) সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জ শহরের স্বর্ণপট্টির একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত  বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস)  এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সভায় জেলার জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা অংশ নেন।

এসময় দিলীপ কুমার বলেন, সারাদেশের স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করা হচ্ছে, যাতে কোথাও স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের হাতে ক্রেতা ঠকানোর ঘটনা না ঘটে। সারাদেশে ৪০ হাজার পরিবার এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। গুটিকয়েক লোকের জন্য আমরা এ ব্যবসা ধ্বংস হতে দিতে পারি না। তাই সারাদেশের আনাচে কানাচে থাকা সব স্বর্ণ ব্যবসায়ীর তালিকা তৈরি করে জুয়েলার্স সমিতির আওতায় আনা হচ্ছে।

তিনি আরও  বলেন, বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা বিদেশে চলে যেতেন না। তিনি বেঁচে থাকলে স্বর্ণের ইন্ডাস্ট্রি বাংলাদেশে অনেক আগেই হতো। তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে আজ যেমন বাংলাদেশ আলোকিত হচ্ছে। স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা, স্বর্ণ নীতিমালা নির্দেশনা দিয়ে বাস্তবায়ন করে পাস করে দিয়েছেন তিনি। আগামী দিনে এ শিল্পের উন্নয়ন ঘটবে। দেশে স্বর্ণের ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠবে। দেশের গহনা রপ্তানি হবে বিদেশে।

জুয়েলারি শিল্পের দীর্ঘদিনের কলঙ্কের টিপ ছিল, কালিমা ছিল যে স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা চোর, চোরাকারবারি, স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের কোনো উৎস নেই। স্বর্ণ নীতিমালা পাস করার মধ্য দিয়ে সেসব কালিমার টিপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুছে দিয়েছেন, মন্তব্য করেন তিনি।

সভায় অনেকের মধ্যে বাজুসের উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিজনেস এডিটর রুহুল আমিন রাসেল, বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ল’ অ্যান্ড মেম্বারশিপের সদস্য সচিব ও কার্যনির্বাহী সদস্য মো. রিপনুল হাসান, বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি মনিটরিংয়ের সদস্য ও কার্যনির্বাহী সদস্য পবিত্র চন্দ্র ঘোষ, বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ডিস্ট্রিক্ট মনিটরিংয়ের সদস্য রকিবুল ইসলাম চৌধুরী, গোপালগঞ্জ জেলা বাজুসের সাবেক সভাপতি ধ্রুবলাল বসু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল আমীন, খুলনা বাজুসের সভাপতি সমরেশ চন্দ্র সাহা, সাধারণ সম্পাদক শংকর কুমার কর্মকার, কোটালীপাড়া সমিতির সাধারণ সম্পাদক অশোক কুমার কর্মকার বক্তব্য দেন।

মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন গোপালগঞ্জ বাজুস আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মেহেদী হাসান।

মতবিনিময় সভা শেষে তিন সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন কমিটি ও তিন সদস্য বিশিষ্ট আপিল কমিটি গঠন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২৩২৭ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২২
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।