ঢাকা: মজুদ বাড়াতে ভারত থেকে ৭০ হাজার মেট্রিক টন গম কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
প্রতি মেটিক টন গমের দাম ৩৩২ দশমিক ৯০ মার্কিন ডলার।
ভারতের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এলএমজে ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড (১৫ বি হেমান্ট বসু সরণী, ৫ম তলা), কোলকাতা ৭০০০০১) ৭০ হাজার গমের মধ্যে ৬০ শতাংশ চট্টগ্রাম এবং ৪০ শতাংশ মংলা বন্দরের মাধ্যমে সরবরাহ করবে।
খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আহমদ হোসেন খান বাংলানিউজকে বলেন, ‘গমের মজুদ বাড়াতে প্যাকেজ এক এর আওতায় ৭০ হাজার মেট্রিক টন গম কেনার জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহবান করা হয়। দরপত্রে তিনটি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। যার মধ্যে ভারতের মেসার্স এলএমজে ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড সর্বনিম্ন দরদাতা হয়ে গম সরবরাহের কাজটি পেয়েছে। ’
তিনি আরও বলেন, ‘আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া গম সফট রেড উইনটার (এসআরডব্লিউ) জাতের। ’
গত ১৫ সেপ্টেম্বরের দৈনিক খাদ্যশস্য পরিস্থিতি প্রতিবেদন অনুসারে মাত্র ৭২ হাজার মেট্রিক টন গম সরকারের কাছে মজুদ রয়েছে।
অন্যদিকে ২০১০-১১ অর্থ বছরের খাদ্য বাজেটে সাড়ে সাত লাখ মেট্রিক টন গম আমদানির সিদ্ধান্ত হয়। যার মধ্যে রাশিয়া থেকে জি টু জি পর্যায়ে (সরকার থেকে সরকার পর্যায়) ৩ লাখ মেট্রি টন এবং অবশিষ্ট গম আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে সংগ্রহের সিদ্ধান্ত হয়।
কিন্তু চলতি মৌসুমে রাশিয়ায় খরা ও নজিরবিহীন তাপ প্রবাহের কারণে গমের উৎপাদন কম হয়। এতে গমসহ সব খাদ্যশস্য রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে রাশিয়া। এছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারে গমের দাম বাড়ার কারণে আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে চুক্তিবদ্ধ হয়েও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান সরকারকে গম সরবরাহ করতে অপারগতা প্রকাশ করেছে। এতে সরকারের গম মজুদের পরিমাণ অস্বাভাবিকভাবে কমে গেছে।
গমের মজুদ সম্পর্কে আহমদ হোসেন খান বাংলানিউজকে বলেন, ‘অনাকাঙ্খিত কিছু ঘটনার জন্য বর্তমানে গমের মজুদ কম রয়েছে। তবে এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। মজুদ বাড়াতে এরই মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ’
ভারত থেকে ২ লাখ মেট্রিক টন গম জি টু জি পর্যায়ে কেনার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে আরও গম কেনা হবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময় : ০৫৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১০