দক্ষিণ কোরিয়ার কোম্পানি ‘কোলন করপোরেশন’-এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান কোলন ইন্ডাস্ট্রিজের বিরুদ্ধে বিশ্ববিখ্যাত ডুপন্ট কোম্পানির নিজস্ব প্যাটেন্টে ও মূল্যবান তথ্য চুরির এক পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের হাতে ধরা পড়ে। এফবিআই আদালতে উপস্থিত হয়ে স্বীকারোক্তি দিলে ওয়াশিংটন ডিসির অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যার্টনি জেনারেল লেজলি কার্ডওয়েল কোলন ইন্ডাস্ট্রিজকে ৮৫ মিলিয়ন ডলার জরিমানা ও ক্ষতিপূরণ বাবদ ২৭৫ মিলিয়ন ডলার ধার্য করেন।
এফবিআইয়ের ওয়েবসাইট ঘেঁটে দেখা যায়, কোলন ইন্ডাস্ট্রিজ স্বীকার করেছে, পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও তারা তথ্য চুরির ঘটনায় জড়িত ছিল। গবেষণা ও উন্নয়নে নিজেরা বিনিয়োগ না করে অন্যদের তথ্য-প্রযুক্তি চুরি করে লাভবান হওয়ার কৌশল অবলম্বন করে।
২০১৬ সাল থেকে সেই প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে কাজ করছে। এতে মূল্যবান তথ্য পাচারের আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় কোলন গ্লোবাল করপোরেশনের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। হাইকোর্টেও তাদের নামে একাধিক মামলা চলমান। এ বিষয়ে কোলন করপোরেশন বাংলাদেশের প্রতিনিধি জি হুন কিমের মোবাইলে কল ও এসএমএস পাঠানো হলেও তিনি কোনো উত্তর দেননি।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা কোম্পানিটি সম্পর্কে খোঁজ নিচ্ছি। তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ পেলে আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব। ’
জানতে চাইলে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, যে কোনো দুর্নীতিগ্রস্ত কিংবা সাজাপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের উন্নয়নের অংশীদার হলে দেশের মূল্যবান তথ্যপাচারের আশঙ্কাও থাকবে।
সৌজন্যে কালের কণ্ঠ
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০২২
নিউজ ডেস্ক