ঢাকা: ডিমের বাজার স্থিতিশীল রাখতে ‘প্রয়োজনে ডিম আমদানির’ কথা ঘোষণা করার পরদিন থেকেই কমতে শুরু করেছে দাম। বৃহস্পতিবার প্রতি ডজন ডিমের দাম কমেছে ২৫ টাকা।
খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, আজ ১০০ ডিমের পাইকারি দাম ১১শ’ টাকা। আমরা প্রতিডজন বিক্রি করছি ১৪০ টাকা। কিন্তু কেউ এক হালি নিতে চাইলে আমরা ৫০ টাকা নিচ্ছি।
দাম কমানোর স্বার্থে প্রয়োজনে ডিম আমদানি করা হবে, বুধবার (১৭ আগস্ট) বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির এমন বক্তব্যের পরের দিনেই ডিমের দাম হালিতে পাঁচ থেকে ১০ টাকা কমল।
বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারগুলোতে দেখা গেছে, লাল ও সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি হালি ৫০ টাকা করে। অথচ বুধবার (১৭ আগস্ট) বিক্রি হয়েছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা হালি। সেই হিসাবে খুচরা বাজারে একদিনের ব্যবধানে প্রতি হালি ডিমের দাম কমেছে ৮ থেকে ১০ টাকা।
তবে যারা ডজন কিংবা এক কেস ডিম কিনছেন তারা আরও কম দামে ১৪০ টাকায় কিনতে পারছেন।
হাতিরপুলের মুদি দোকানি মতিয়ার রহমান বাংলানিউজকে বলেন, দাম বাড়ার পরে অনেকে ডিম কেনা কমিয়ে দিয়েছে। প্রতিদিন ১০ কেস ডিম বিক্রি হতো। এখন তার অর্ধেক বিক্রি হচ্ছে। গত কয়েকদিন ৬০ টাকা হালি ডিম বিক্রি হচ্ছিল এখন ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
দাম কমার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আড়ত থেকে ডিম কম দামে কিনেছি। তাই কম দামেই বিক্রি করছি।
দাম হঠাৎ করেই এতো ঊর্ধ্বমুখী কেন জানতে চাইলে তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আমান উল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, মুরগির খাবারের দাম বেড়েছে। তার ওপর জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে ডিমের দাম বেড়েছে।
ডিম আমদানি করা হবে বলে বাণিজ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এখন ডিমের দাম কমানো হয়েছে কিনা জানতে চাইলে আমান উল্লাহ বলেন, আমরাও চাই ডিমের দাম কমাতে কিন্তু আমাদের উপায় নেই।
তিনি বলেন, ডিমের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিক্রি কমেছে। আমাদের ব্যবসাও কমেছে।
তবে লেয়ার মুরগির ডিমের দাম কমলেও দেশি মুরগি কিংবা হাঁসের ডিমের দাম কমেনি। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায়।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০২২
এনবি/আরআইএস