ঢাকা: সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে ডিম, মুরগি ও পেঁয়াজের দাম কমেছে। অপরিবর্তিত আছে সবজি, ভোজ্যতেল ও চালের দাম।
শুক্রবার (১৯ আগস্ট) সকালে রাজধানীর মিরপুরের ১১ নম্বর বাজার, মিরপুর কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকা ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।
বাজারে বেশিরভাগ সবজি গত সপ্তাহের দামে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে সিমের কেজি ২৪০ টাকা, শসা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়। লম্বা বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। করলা ৮০ টাকা, চাল কুমড়া পিস ৫০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, কচুর লতি ৭০ টাকা, পেঁপের কেজি ৪০ টাকা, বটবটির কেজি ৮০ টাকা, ধুনধুলের কেজি ৫০ টাকা।
এইসব বাজারে কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। এছাড়া কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। শুকনো মরিচের কেজি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা।
১১ নম্বর বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. আল-আমিন বাংলানিউজকে বলেন, গত সপ্তাহের দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। শুধুমাত্র সিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়। সাপ্লাই বাড়ায় সবজির দাম কমেছে।
বাজারে আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। পেঁয়াজের দাম কমেছে। দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি। ভারতীয় পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। এসব বাজারে রসুনের কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। বাজারে চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা। আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১১০ টাকায়।
বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকায়। এছাড়াও এসব বাজারে দেশি মুশুরের ডালের কেজি ১৩০ টাকা। ভারতীয় মুশুরের ডাল বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়।
এছাড়া ভোজ্যতেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকা।
এসব বাজারে লাল ডিমের দাম কমে ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা। বাজারে হাঁসের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ২১০ টাকা।
১১ নম্বর বাজারের ডিম বিক্রেতা মাসুদ বাংলানিউজকে বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার অজুহাতে খামারিরা ও পাইকাররা ডিমের দাম বাড়িয়ে দিয়েছিল।
এখন ডিমের দাম কমতে শুরু করেছে। লাল ডিমের ডজনে কমেছে ৩০ টাকা। ডিমের দাম বাড়ার পেছনে কারসাজি ছিল খামারি ও পাইকারদের। সরকার চাপ দেওয়ায় দাম কমতে শুরু করেছে।
বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৬৬০ থেকে ৬৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকায়।
বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে। ব্রয়লার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা। ৭ দিন আগে বিক্রি হয়েছিল ২১০ টাকা কেজি। কমেছে সোনালি মুরগির দাম। কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা। গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ৩১০ টাকা। লেয়ার মুরগির দামও কমেছে। কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ টাকায়।
১১ নম্বর বাজারের মুরগি বিক্রেতা রুবেল বলেন, মুরগির উৎপাদন বাড়ায় কমেছে দাম। গত সপ্তাহে পরিবহন খরচ বাড়ার অজুহাতে দাম বেড়েছিল মুরগির। ওই দাম বাড়ার মূল কারণ ছিল পাইকার ও খামারির।
গত সপ্তাহের বাড়তি ধানে বিক্রি হচ্ছে চাল। সকল ধরনের মোটা ও চিকন চাল আগের দামে বিক্রি হচ্ছে।
১১ নম্বর বাজারের মকবুল রাইস এজেন্সি কর্ণধার কামাল সরকার বাংলানিউজকে বলেন, চালের দাম বাড়ার পিছনের কারণ হচ্ছে সিন্ডিকেটের কারসাজি। পাইকারি ও সিন্ডিকেটরা পরিবহন খরচের অজুহাত দেখিয়ে চালের দাম বাড়িয়েছে। প্রায় সব ধরনের মোটা ও চিকন চলের দাম বাড়তি। মোটা চালের বস্তায় দাম বেড়েছে ২৫০ ও চিকন চালের বস্তায় দাম বেড়েছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০২২
এমএমআই/এনএইচআর