ঢাকা: মুরগির বাচ্চা বিক্রি, ডিম উৎপাদন ও পোল্ট্রি বিক্রয়ের ক্ষেত্রে বৃহৎ ১২ থেকে ১৫টি কোম্পানি সিন্ডিকেট করে ইচ্ছেমতো দাম নির্ধারণ করছে।
ফলে বাজারে বাড়তি দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে সংকট করে ৬১৮ কোটি টাকা গত ১৫ দিনে অতিরিক্ত মুনাফার নামে লোপাট করেছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন।
শনিবার (২০ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে প্রান্তিক পর্যায়ের খামারিদের সংগঠন এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেছে।
বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, দেশে প্রতিদিন সাড়ে ৪ কোটি ডিম উৎপাদন হয়। ১ কোটি ৩০ লাখ এখন খামারিরা উৎপাদন করেন, বাকি সবই কোম্পানি উৎপাদন করে। গত ১৫ দিনে প্রতিদিন ২.৫ কোটি ডিম বিক্রিতে তিন টাকা করে বৃদ্ধি করে ১১২ কোটি ৫০ লাখ অতিরিক্ত মুনাফা করেছে। ২৭২ কোটি টাকা অতিরিক্ত মুনাফা করেছে বাচ্চা উৎপাদনে, আর ২৩৪ কোটি মুনাফা করেছে পোল্ট্রি মাংস বিক্রি করেছে ১৫টির মতো কোম্পানি।
সুমন হাওলাদার বলেন, অতিরিক্ত মুনাফালোভী এ কোম্পানিগুলোর নিয়ন্ত্রণে ৫০ শতাংশ ও বাকি ৫০ শতাংশ তারা নিজেরা যে রেট নির্ধারণ করে সারাদেশের খামারিদেরই সেই রেটে চলতে হয়।
বাজারে ডিমের দাম আড়ৎদারেরা নির্ধারণ করে না বলে দাবি করে সভাপতি বলেন, মুরগির বাচ্চা বিক্রি, ডিম উৎপাদন ও পোল্ট্রি বিক্রয়ের ক্ষেত্রে সিন্ডিকেট করে ইচ্ছামতো দাম নির্ধারণ করছে নির্দিষ্ট ১০-১২ টি কোম্পানি।
তিনি আরও বলেন, পোল্ট্রি খাদ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত মিটবর্ণ কোনো পরীক্ষা ছাড়াই কোম্পানি আমদানির সুযোগ পাওয়ায় খাদ্যের মান কমে গেছে।
প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ও মহাপরিচালক বরাবর সিন্ডিকেট ভাঙতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে বলেও জানান সুমন হাওলাদার।
বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খন্দকার বলেন, ডিমের বাচ্চার উৎপাদন খরচ ২৫ থেকে ২৮ টাকা। অথচ কখনো ৪০,৫০ কিংবা এপ্রিলে ৭২ টাকা এমনকি গতবছর ৯৫ টাকাও বিক্রি করেছে। ফলে ৪০ শতাংশ খামারি খামার বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহ-সভাপতি বাপ্পী কুমার দে, খুলনা বিভাগীয় সভাপতি বুরহান উদ্দিন ও রংপুর বিভাগীয় সভাপতি সুজন মাহমুদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০২২
এনবি/এসআইএস