ঢাকা: ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেছেন, ভবিষ্যতে শুধুমাত্র ডেটার ওপর নির্ভর করবে পুঁজিবাজারের ইনভেস্ট কোথায় যাবে, কোথায় যাবে না।
বৃহস্পতিবার (০৬ অক্টোবর) বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ -২০২২ উপলক্ষে এএএমসিএমএফ আয়োজনে ‘রোল অব টেকনোলজি অ্যান্ড ইএসজি অ্যানালাইটিকস ইন সাসটেইনেবল ফাইন্যান্সিং’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেন, আপনারা যারা শেয়ার মার্কেটে ব্যবসা করেন এবং তারা যদি আর্টিফিশিয়ালি ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার না করেন তাহলে ভবিষ্যতে ব্যবসার সবচেয়ে নিচের মানুষ হয়তো আপনি থাকবেন। কারণ হচ্ছে আর্টিফিশিয়ালি ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে এখন আপনার কাছে কিউপিওর ডেটা আসবে। আর্টিফিশিয়ালি ইন্টেলিজেন্স অ্যানালাইসিস করে দেবে ভবিষ্যতে আপনার কোন শেয়ারটা বেড়ে যাবে বা কোনটা নেমে যেতে পারে।
সেমিনারে বিএসইসির কমিশনার ড. মিজানুর রহমান বলেন, মিউচুয়াল ফান্ডের উন্নতির ক্ষেত্রে কয়েকটি প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। এ খাতের বেশিরভাগ তহবিল ইক্যুইটি মার্কেটে বিনিয়োগ করেছে। তবে গত ১০ বছরে উন্নতি হয়েছে। আমরা সংস্কারে কাজ করছি।
তিনি বলেন, আমরা সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা চাই। অ্যাকাউন্টিং রিপোর্টিং বিনিয়োগ নিরীক্ষা সব জায়গায় স্বচ্ছতা জরুরি। মিউচ্যুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ লাভজনক। এ খাত ১২, ১৩, ১৪ শতাংশ লভ্যাংশ দিতে পারে।
সেমিনারে বিএসইসির কমিশনার শেখ শামসুদ্দীন আহমেদ বলেন, আমরা দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ চাই। কিন্তু পৃথিবীর বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো বিনিয়োগের জন্য পরিবেশকে গুরুত্ব দিচ্ছে। আমরা ঝুঁকিতে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানগুলো যদি না আগায়, তবে চেষ্টা করে লাভ নেই। কিন্তু সরকার চেষ্টা করছে, প্রযুক্তিতে পৌঁছনোর চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু পরিবেশগত প্রচেষ্টা জরুরি। বিএসইসি ইতোমধ্যে গ্রিন ও ব্লু বন্ড চালুর উদ্যোগ নিয়েছে। এটি সফল করতে অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির ভূমিকা রয়েছে।
সেমিনারে কমিশনার রুমানা ইসলাম বলেন, বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহের মূল লক্ষ্য হচ্ছে বিনিয়োগকারীদের সচেতন করা। তবে এ সচেতনতা তৈরি শুধুমাত্র একটি সপ্তাহের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকা ঠিক হবে না। আমাদের সারা বছরজুড়ে বিনিয়োগকারীদের জন্য সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০২২
এসএমএকে/আরআইএস