চট্টগ্রাম: ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে। আবহাওয়া অধিদফতরের সতর্কতা সংকেতের ওপর নির্ভর করে ধাপে ধাপে কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড়টি সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৭৭০ কিলোমিটার, কক্সবাজার থেকে ৭১০ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা থেকে ৭০০ কি.মি. ও পায়রা থেকে ৬৭৫ কিমি দক্ষিণ, দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
সূত্র জানায়, দুর্যোগ মোকাবিলায় বন্দরের গাইড লাইন অনুযায়ী সতর্কতা সংকেত বাড়লে পর্যায়ক্রমে জেটির জাহাজগুলো বহির্নোঙরে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। একই সঙ্গে কিগ্যান্ট্রি ক্রেন, রাবার টায়ার গ্যান্ট্রি ক্রেনসহ কনটেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্টগুলো প্যাকিং করে ফেলা হবে। কর্ণফুলী চ্যানেল নিরাপদ রাখতে নদীর লাইটারেজ জাহাজগুলো নিরাপদ আশ্রয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
বন্দরের এক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, আবহাওয়া অধিদফতর দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৪ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলেছে। তাই বন্দরের গাইডলাইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ৮টা থেকে জেটির জাহাজগুলো পর্যায়ক্রমে বহির্নোঙরে পাঠানোর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। সকালে পুনরায় পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন বন্দরের কর্মকর্তারা।
এদিকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশন, সিভিল সার্জন কার্যালয়, ফায়ার সার্ভিস, রেড ক্রিসেন্টসহ সংশ্লিষ্টরা উপকূলীয় ওয়ার্ড ও উপজেলায় আশ্রয়কেন্দ্র খোলা, মেডিকেল টিম গঠন, ত্রাণ-উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০১৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪ ,২০২২
এআর/টিসি