ঢাকা: রাজধানী ঢাকায় শনিবার সকালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আয়োজিত আয়কর মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান সকাল সাড়ে ১০টায় রমনাস্থ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এ মেলার উদ্বোধন করেন।
আয়কর মেলাটি একযোগে ঢাকা ও চট্টগ্রামে ২৬ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
করদাতাদের উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ মেলা শুরু হয়েছে।
এ মেলায় ব্যক্তি ও কোম্পানি পর্যায়ের করদাতাদের আয়কর রিটার্ন গ্রহণ করা হবে।
ঢাকায় ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে এবং চট্টগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে আয়কর মেলা প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
মেলায় নতুন করদাতাদের তাৎক্ষণিকভাবে টিআইএন (ট্যাক্সপেয়ার্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর) সার্টিফিকেট দেওয়া হবে।
টিন নম্বরের জন্য ১ হাজার টাকা জমা দিতে হবে অগ্রীম কর প্রদান হিসেবে। পরে কর দেওয়ার সময় কর যত হয়, তা থেকে এ টাকা বাদ দেওয়া হবে। এ সময় ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে আনতে হবে।
আয়কর রিটার্ন পূরণে সহায়তা করার জন্য মেলায় প্রত্যেকটি করাঞ্চলের জন্য থাকবে আলাদা হেলপ ডেক্স। ট্যাক্সপেয়ার্সদের আয়কর বিষয়ে অবহিত করার জন্য প্রতিটি ডেক্সে থাকবেন একজন ডেপুটি কমিশনার।
ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটিকর্পোরেশন এলাকার ট্যাক্সপেয়ার্সরা শুধু এ সুবিধা পাবেন।
মেলায় রিটার্ন ফর্ম পূরণের সাথে সাথে মূল্যায়ন করে তা আয়করযোগ্য হলে, কর জমা দেওয়ার ব্যবস্থা থাকছে।
উভয় মেলায় সোনালী ও জনতা ব্যাংকের আয়কর জমা দেওয়ার জন্য ২টি বুথ থাকবে। এ সময় রিটার্ন ফর্মের তাৎক্ষণিকভাবে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র দিয়ে দেওয়া হবে। রিটার্ন ফর্মের তথ্যাদি মূল্যায়ন করে যদি দেখা যায় রিটার্ন দাখিলকারী করযোগ্য নয়, তাহলে তাকে কর দিতে হবে না।
মহিলা, প্রতিবন্ধী ও প্রবীণ করদাতাদের জন্য থাকবে আলাদা কাউন্টার।
এর আগে এনবিআরের বোর্ড সদস্য শম্ভুনাথ বাংলানিউজকে জানান, ‘এখন একেকজন একেক করাঞ্চলে আয়কর দেন। মেলায় টিন নম্বর নেওয়া থেকে শুরু করে, রিটার্ন ফর্ম পূরণ, মূল্যায়ন ও টাকা জমা পর্যন্ত দিতে পারবেন। এছাড়াও যারা কর নিয়ে ভয় পান বা বোঝেন না, তাদের সকল ভয়ভীতি দূর করার জন্যই এ উদ্যোগ। ’
করদাতাদের উদ্বুদ্ধকরণে এ রকম আয়োজন এবারই প্রথম বলেও তিনি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১০