ঢাকা: রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকার (ইপিজেড) শ্রমিকদের জন্য শিগগিরই ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করতে যাচ্ছে সরকার। ইপিজেটের নিজস্ব নির্দেশনা অনুযায়ি এ বেতন নির্ধারণ করা হয়েছে।
ইপিজেড সূত্রে জানা গেছে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এই বেতন কাঠামো ঘোষণা করা হবে। তবে শুধু তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিক নয় ইপিজেডে যত শিল্প কারখানা আছে সবার ক্ষেত্রে এ বেতন কাঠামো প্রযোজ্য হবে।
এ সংক্রান্ত প্রস্তাব এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী স্বাক্ষর করেছেন বলে ইপিজেড সূত্রে জানা গেছে।
বর্তমানে দেশের ৮টি ইপিজেট এলাকার মধ্যে ২ লাখ ৬৯ হাজার বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ করে। এর মধ্যে তৈরি পোশাক শিল্পে এর ৬০ শতাংশ লোক কাজ করে।
সম্প্রতি ইপিজেড এলাকার বাইরে তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের বেতন কাঠামো ঘোষণা করার পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ সম্পর্কে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল জামিল আহমেদ খান বাংলানিউজকে জানান, ১৯৮৩ সালে দেশে ইপিজেড যাত্রা শুরু করলেও প্রথম বেতন কাঠামো হয়েছে ১৯৮৯ সালে। এর পর আর ইপিজেডে বেতন কাঠামো নির্ধারণ করা হয়নি। তখন শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা হয় ৩০ মার্কিন ডলার।
ইপিজেডের জন্য শিগগিরই যে বেতন কাঠামো ঘোষণা করা হচ্ছে এর সত্যতা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে ইপিজেড এলাকার শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি হলো ২১০০ টাকা। কিন্তু সম্প্রতি ইপিজেড এলাকার বাইরের তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য যে বেতন কাঠমো সরকার ঘোষণা করেছে তা এর চেয়ে অনেক বেশি।
ইপিজেড এলাকার জন্য যে বেতন কাঠামো হচ্ছে তা বাইরের কাঠামো থেকে কিছুটা বেশি হবে বলে তিনি জানান।
তবে এই বেতন কত নির্ধারণ করা হয়েছে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যা নির্ধারণ হয়েছে তা বাইরের বেতন কাঠামো থেকে কিছুটা বেশি হলেও সামঞ্জস্য করেই করা হয়েছে। ’
ইপিজেড এলাকার শ্রমিকদের বেতন বেশি হওয়ার কারণ হিসেবে শ্রমিকদের দক্ষতাসহ ১৮ টি কারণ রয়েছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময় ১৫৪১ ঘন্টা, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১০