ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

মার্জিন লোন সমন্বয়ে এসইসির সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট

এসএম গোলাম সামদানী স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১০
মার্জিন লোন সমন্বয়ে এসইসির সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট

ঢাকা: শেয়ারের বাজারমূল্য ও প্রকৃত সম্পদ মূল্যের (এনএভি) অর্ধেকের ভিত্তিতে মার্জিন হিসাব করে ঋণ সমন্বয় করার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে রোববার হাইকোর্টে রিট করেছেন এক বিনিয়োগকারী।  

গত ৬ সেপ্টেম্বর সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) এ নির্দেশনা দেয় যা রোববার থেকেই কার্যকর করা হয়েছে।



বিচারপতি সৈয়দা আফসার জাহান ও বিচারপতি মামনুন রহমানের আদালতে এই রিটটি দায়ের করেন কমল সরকার নামের এক বিনিয়োগকারীর পক্ষে ব্যারিস্টার আবুল কালাম আজাদ।

তবে  আদালতের দিনের কার্যসময় শেষ হয়ে যাওয়ায় এদিন রিট গ্রহণ সংক্রান্ত আদেশের জন্য আবেদনটি আদালতে পেশ করা হয়নি। তবে কার্যতালিকা স্থান পেয়েছে রিটটি।

উল্লেখ্য, গত ৬ সেপ্টেম্বর এসইসি শেয়ারের বাজারদরের সঙ্গে প্রকৃত সম্পদমূল্য (এনএভি) সমন্বয় করে মার্জিন নির্ধারণের জন্য একটি নির্দেশনা জারি করে। নির্দেশনায় বলা হয়, এনএভি ও বাজারমূল্যের যোগফলের অর্ধেকের ভিত্তিতে কোনো কোম্পানির শেয়ারের বিপরীতে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজগুলো কী পরিমাণ ঋণ দিতে পারবে ডিএসই প্রতি সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে তা নির্ধারণ করবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি বা মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সর্বশেষ ঘোষিত আর্থিক বিবরণীতে উল্লেখিত এনএভি’র ভিত্তিতে মার্জিন নির্ধারণ করা হবে।

ডিএসই’র দেওয়া এই হিসাবের ভিত্তিতে মার্চেন্ট ব্যাংক এবং দুই স্টক এক্সচেঞ্জের আওতাধীন ব্রোকারেজ হাউজগুলো গ্রাহকদের ঋণ প্রদান করবে বলেও নির্দেশনা দেওয়া হয়।

নির্দেশনায় আরো বলা হয়, ডিএসই নির্ধারিত মার্জিন হিসাব করে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজ প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিধিমালা অনুযায়ী গ্রাহককে অতিরিক্ত অর্থ জমা দিতে বলবে (মার্জিন কল)।

সংশ্লিষ্ট গ্রাহক ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অতিরিক্ত টাকা জমা দিতে ব্যর্থ হলে মার্জিন বিধিমালা অনুযায়ী ব্রোকারেজ হাউজ বা মার্চেন্ট ব্যাংক তার হিসাবে থাকা শেয়ার বাধ্যতামূলক বিক্রি (ফোর্সড সেল) করে ঋণ সমন্বয় করবে।

রিটে নির্দেশনা জারির আগে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজ থেকে নেওয়া ঋণ সমন্বয়ে এসইসি’র নির্দেশকে বেআইনি ও এখতিয়ার বহির্ভূত ঘোষণার আবেদন জানানো হয়েছে।

এনএভি-ভিত্তিক হিসাব পদ্ধতি কার্যকর হওয়ার আগে বিনিয়োগকারীরা যে ঋণ নিয়েছেন তা নতুন নির্দেশনার আওতায় না আনার নির্দেশ দেওয়ারও আবেদন করা হয়েছে এতে।

কারণ হিসেবে রিটে উল্লেখ করা হয়েছে, বিনিয়োগকারীরা যে সময় ঋণ নিয়েছিলেন সে সময়ে   প্রযোজ্য বিধি-বিধান মেনেই তাদের ঋণ দেওয়া হয়েছিল। তাই পরে জারি করা নির্দেশ তাদের বেলায় প্রযোজ্য হতে পারে না। এমনটি করা হলে বিনিয়োগকারীদের ওপর অন্যায় করা হবে এবং তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

স্থানীয় সময়ঃ ১৯৫৪ ঘন্টা, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।