ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

শিক্ষার্থীদের না জানিয়েই অনলাইনে আবেদন করেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২২
শিক্ষার্থীদের না জানিয়েই অনলাইনে আবেদন করেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

শরীয়তপুর:  শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অনুমতি ছাড়াই নিজ প্রতিষ্ঠানকে প্রথম পছন্দে রেখে অনলাইনে ভর্তির আবেদন করে রাখে শরীয়তপুর সদর উপজেলার ডোমসার জগৎচন্দ্র ইনস্টিটিউশন অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ।  

ফলে প্রতিষ্ঠানটি থেকে এসএসএসি পাশ করা ১০৪ শিক্ষার্থী একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন করতে পারেননি।

এতে এসব শিক্ষার্থীর পছন্দের কলেজে ভর্তি অনিশ্চিত এখন।

তবে শিক্ষাবোর্ড দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে আবেদনের সুযোগ করে দিলে শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দের কলেজে ভর্তির আবেদন করতে পারবে।  

২০২২ সালে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের কলেজে ভর্তির আবেদন অনলাইনে করতে ৮ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয় শিক্ষা বোর্ড।  

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানায়, চলতি বছর এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ১০৪ জন শিক্ষার্থী এসএসসিতে কৃতকার্য হয়েছে। কলেজে ভর্তির আবেদন শুরু হওয়ায় অনলাইনে আবেদনের জন্য তারা যায়। আবেদন ফরম পূরণ করে সেন্ট করা হলে সার্ভার তা গ্রহণ করে না। শুধু রিপ্লাই আসে ইতোপূর্বে আবেদন করা হয়েছে। সেখানে ডোমসার জগৎচন্দ্র ইনস্টিটিটিশন এন্ড কলেজকে প্রথম পছন্দ দেখায়। পছন্দের তালিকায় অন্য যে কলেজের নাম দেখায় তার কোন অস্তিত্ব আছে কিনা তাও জানি না।

জানা গেছে, আবেদন শুরুর দিনেই (৮ ডিসেম্বর) ডোমসার জগৎচন্দ্র ইনস্টিটিউশন অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের না জানিয়ে নিজ কলেজকে পছন্দের তালিকায় রেখে অনলাইনে আবেদন করে রাখেন। শিক্ষার্থীরা যখন তাদের পছন্দের কলেজে ভর্তির জন্য আবেদন করতে যায় তখন অনলাইনে তাদের আবেদন গ্রহণ না করে ইতোপূর্বে আবেদন করা হয়েছে মর্মে নোটিশ আসে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমন কাণ্ডের বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেক অভিভাবক। তারা বলছেন, প্রতিযোগিতার শিক্ষায় সন্তানদের একটা ভালো কলেজে ভর্তি করার সুযোগ রইল না। এই কলেজে ভর্তির জন্য আবেদন করে রেখেছে। আমরা তা জানতাম না। এখন অন্য কলেজে ভর্তির আবেদন নেয় না। এই কলেজ শাখায় কোন শিক্ষক নাই। তাছাড়া সন্তানরা এই কলেজে ভর্তি হতে চায় না। কলেজ কর্তৃপক্ষের লোভের কারণে সন্তানদের পড়ালেখা মনে হয় বন্ধ হয়ে যাবে।

এ ব্যাপারে ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও অধ্যক্ষ কবিরাজ আব্দুল খালেক বলেন, শিক্ষার্থীরা এই কলেজে ভর্তি হতে না চাইলে কিছুই করার নাই। পরবর্তীতে ভর্তির সুযোগ দিলে তখন অন্য কলেজে ভর্তি হতে পারবে। ভর্তির জন্য আমরা কাউকে আর জোর করব না।

এ ব্যাপারে শরীয়তপুর সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. শহীদ হোসেন বলেন, এই বিষয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা আমার কাছে ফোনে অভিযোগ করেছে। তাদের লিখিত অভিযোগ করতে বলেছি। কলেজের অধ্যক্ষ ও অন্যান্য শিক্ষকদের সঙ্গে আলাপ হয়েছে। তারা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। কেউ লিখিত অভিযোগ করলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২২
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।