ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

প্রথম বর্ষেই বৈধ সিট নিশ্চিতের দাবিতে জাবিতে মশাল মিছিল

জাবি করেসপডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৩
প্রথম বর্ষেই বৈধ সিট নিশ্চিতের দাবিতে জাবিতে মশাল মিছিল

জাবি: বিশ্ববিদ্যালয়ে গণরুম সংস্কৃতি বিলুপ্ত করে প্রথম বর্ষেই বৈধ সিট নিশ্চিতের দাবিতে মশাল মিছিল করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রগতিশীল শিক্ষার্থীরা।  

বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

 

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবি উপস্থাপন করেন। দাবিগুলো- অবিলম্বে গণরুম সংস্কৃতি বিলোপ করে শিক্ষার্থীদের বৈধ সিট নিশ্চিত করা, অবৈধ শিক্ষার্থীদের অবিলম্বে হল থেকে বহিষ্কার, নতুন সব হল চালু করে প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করা, পর্যাপ্ত ভর্তুকি দিয়ে ডাইনিংকে মানসম্মত করা।  

সমাবেশে দর্শন বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সজীব বলেন, আমি গণরুমের একজন ভুক্তভোগী। আমাদের গভীর রাতে দাঁড় করিয়ে মিছিল করায়, টর্চার করা হয়। আমাদের ওপর নানান বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। আমরা ডাইনিং এ খেতে পারি না। আমরা একটি কক্ষে প্রায় ৫০ জন একসাথে থাকি। রাতে ঘুমানোই যায় না। এখানে শিক্ষা গ্রহণের কোনো পরিবেশ নেই। আমাদের নতুন হলে সিট দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তা করা হয়নি। আমরা চাই পহেলা মার্চের মধ্যে নতুন হলে আবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।  


সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক কনোজ কান্তি রায় বলেন, সাবেক ভিসি বলেছেন নতুন হল তৈরি হলে গণরুম ব্যবস্থা জাদুঘরে যাবে৷ এখন হলটাই জাদুঘরে পরিণত হয়েছে। শিক্ষার্থীরা বিছানা, পড়ার টেবিল কিছুই পায় না। রাতের বেলায় তাদের ওপর অমানসিক টর্চার করা হচ্ছে। তারপরও প্রশাসন চুপ করে থাকে। প্রশাসনকে বলতে চাই, আপনারা যদি সিট দিতে না পারেন তাহলে আপনাদের ওই আসনে থাকার কোনো অধিকার নেই। পহেলা মার্চের মধ্যে ৫১ ব্যাচের সবাইকে তাদের বৈধ সিটের ব্যবস্থা করতে হবে।  

সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সৌমিক বাগচী বলেন, প্রতিটা ব্যাচ বিশ্ববিদ্যালয়ে আসে একটি স্বপ্ন নিয়ে। কিন্তু এখানের অমানবিক ব্যবস্থার ফলে তাদের স্বপ্নের আর কোনো অস্তিত্ব থাকে না। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে আবাসিক বলা হলেও তা এখন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। এখানে উন্নয়নের মূলা ঝুলিয়ে রেখে আমাদের রাখা হয়েছে বস্তির মতো পরিবেশে।  

ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সাধারণ সম্পাদক অমর্ত্য রায় বলেন, একজন শিক্ষার্থী অনেক স্বপ্ন নিয়ে আসে। কিন্তু গণরুমে প্রথম রাতেই সে স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে যায়। প্রশাসন আমাদের প্রতিনিয়ত আশ্বাস দেয়। কিন্তু তা আর বাস্তবায়ন হয় না। পহেলা মার্চের মধ্যে আমাদের দাবি না মানলে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করা হবে।

এর আগে, ৩১ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের (৫১ ব্যাচ) শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গণরুম বিলুপ্তির প্রতিশ্রুতি দিলেও তাদের শেষ পর্যন্ত ঠাই হয়েছে গণরুমে।  

বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৩
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।