ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

বাঁধভাঙা উল্লাসে মেতেছেন ভিকারুননিসার শিক্ষার্থীরা 

সিনিয়র ফটো করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২৩
বাঁধভাঙা উল্লাসে মেতেছেন ভিকারুননিসার শিক্ষার্থীরা  এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়ে উচ্ছ্বসিত ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা। ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: আজ ছিল এইচএসসি ফল প্রকাশের দিন। রোববার (২৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার পর থেকেই রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের এইচএসসি ফলপ্রত্যাশীরা ক্যাম্পাসে আসতে শুরু করেন।

শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের চোখে-মুখে তখন টেনশনের ছাপ। কিছুক্ষণ পরই বের হবে ফলাফল। একটু পর পর ফলাফলের খোঁজে মোবাইলফোনে সার্চ দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।  

গোটা পরিবেশটাই ছিল থমথমে, ভেতরে চাপা উত্তেজনা, বড় কিছু একটা সুখবরের আশায় চাতকের ন্যায় অপেক্ষা।

ছবি: ডিএইচ বাদল

এইচএসসির ফল যদিও বাসায় বসে মোবাইলফোনেই দেখা যাবে কিন্তু এরপরও মা-বাবা বা অন্য কোনো অভিভাবক নিয়ে বিদ্যাপীঠে হাজির শিক্ষার্থীরা। অভিভাবক ও সহপাঠীদের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নিতে চান তারা।  

ছবি: ডিএইচ বাদল

এরপর দুপুর ১২টা বাজতেই ঢাকঢোল ও আনন্দের উল্লাসে মুখর হয়ে ওঠে ভিকারুননিসার ক্যাম্পাস। একে একে  পুরো ক্যাম্পাস এইচএসসি পরীক্ষার্থী ও সহপাঠীদের পদচারণা ভরপুর হয়ে ওঠে।  

ছবি: ডিএইচ বাদল

ছবি: ডিএইচ বাদল

ফলাফলের ধারবাহিকতায় চলতি বছরেও এইচএসসিতে সাফল্য ধরে রেখেছে রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ। ২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় এ প্রতিষ্ঠানটিতে পাসের হার ৯৮ দশমিক ৬৫ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে এক হাজার ১৬৬ জন। বাঁধভাঙা উল্লাসে মেতেছে কৃতকার্য শিক্ষার্থীরা।  

প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) কেকা রায় চৌধুরী এসব তথ্য জানান।

কেকা রায় বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষায় ২ হাজার ৬২১ জন পরীক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করেছিল। এর মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ২৫৯৬ জন। পাস করেছে ২৫৬১ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১৬৬ জন। সে হিসাবে পাসের হার শতকরা ৯৮ দশমিক ৬৫ শতাংশ।

ছবি: ডিএইচ বাদল

ছবি: ডিএইচ বাদল

কলেজছাত্রী সাবরিনা জিপিএ-৫ পাওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, আমার এই ভালো রেজাল্টের পুরো অবদান আমার মা ও বাবার। বাবা- মা আমার জন্য অনেক কষ্ট করেছেন। শিক্ষকদের সহযোগিতাও আমাদের এতদূর নিয়ে এসেছে। সবার কাছে দোয়া চাই যাতে সুন্দরভাবে এগিয়ে যেতে পারি, দেশের কল্যাণে কাজ করতে পারি।

ছবি: ডিএইচ বাদল

ছবি: ডিএইচ বাদল

অন্যান্য শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা আমাদের দীর্ঘদিনের কষ্টের ফল পেয়েছি। আমরা অনেক আনন্দিত। এখন তো ফলাফল বাসায় থেকেও পাওয়া যায়। তবুও আমরা কলেজে এসেছি বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে এবং তাদের সঙ্গে ফল পাওয়ার পর আনন্দ উদযাপনের জন্য। আমরা সহপাঠী, অভিভাবক ও সম্মানিত শিক্ষকসহ সবার সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নিতে চাই।

ছবি: ডিএইচ বাদল

ছবি: ডিএইচ বাদল

অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, আলহামদুলিল্লাহ আমার মেয়েসহ ও সহপাঠীরা সবাই ভালো রেজাল্ট করেছে। এইজন্য অনেক ভালো লাগছে। সবার বাবা- মা অনেক স্ট্রাগল করেছেন। তার প্রতিদান আল্লাহ দিয়েছেন। আমরা চেষ্টা করেছি আর সর্বোপরি আল্লাহর রহমত। এটা শেষ নয়, এখান থেকে তো শুরু। সবাই সামনের দিকে এগিয়ে যাক সেটাই কামনা করি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২৩
এসএএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।