ঢাকা, শনিবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৭ জুলাই ২০২৪, ২০ মহররম ১৪৪৬

শিক্ষা

এনটিআরসির আরবি প্রভাষক নিয়োগে ইসলামিক স্টাডিজকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২৩
এনটিআরসির আরবি প্রভাষক নিয়োগে ইসলামিক স্টাডিজকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগে মৌলভী ও প্রভাষক পদে নিয়োগের যোগ্যতায় ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগকে পুনরায় অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

 

শিক্ষক নিয়োগের প্রথম থেকে ১৭তম নিবন্ধন পরীক্ষায় মৌলভী ও প্রভাষক পদে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহীর মতো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলমিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা আবেদনের সুযোগ পেতেন। তবে ২০২০ সালের ২৩ নভেম্বর এমপিও নীতিমালা সংশোধন করে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রিধারী শিক্ষার্থীদের বাদ দেওয়া হয়। ২০২২ সালের চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে ইসলামিক স্টাডিজের শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে প্রাথমিক সুপারিশ করা হলেও তা চূড়ান্ত করা হয়নি।

ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আমির ফয়সাল বলেন, কিছুদিন আগে যে সার্কুলার প্রকাশিত হয়েছে সেখানে মাদ্রাসা শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগকে বাদ দেয়া হয়েছে। নিয়োগে যেকোনো প্রভাষক পরীক্ষায় ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ আবেদনের সুযোগের কথা সুস্পষ্টভাবে জানিয়েছে ইসলামিক আরবি বিশ্ববিদ্যালয়। অথচ এনটিআরসি প্রণীত নীতিমালা থেকে এ বিভাগকে বঞ্চিত করা হয়েছে। আমরা এ প্রজ্ঞাপন বাতিল চাই।  

একই বিভাগের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম বলেন, নতুন সার্কুলারে আমাদের যোগ্যতা প্রমাণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। যে অন্যায্য অন্যায়মূলক নীতিমালা জারি করা হয়েছে তা নিঃসন্দেহে বৈষম্যমূলক নীতি। এই নীতি অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।  

গত ২ নভেম্বর বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসি) ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষণ-২০২৩ এর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। বিজ্ঞপ্তিতে আরবি ও ফিকহ বিভাগে সহযোগী মৌলভী ও প্রভাষক পদে শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড হতে ফাজিল, কামিল ডিগ্রি, ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় বা ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত মাদ্রাসাসমূহ হতে ফাজিল বা কামিল ডিগ্রি, ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় হতে আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ, আল হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ, দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ, আল ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিষয়ে অনার্সসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অথবা কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে আরবি বিষয়ে অনার্সসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নির্ধারণ করা হয়েছে।  

কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় তথা স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়সগুলোর ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের এই পদসমূহে আবেদন করার সুযোগ দেওয়া হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২৩
ফাহিম হোসেন/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।